নিউজ ডেস্ক:
রাখাইন রাজ্য থেকে গত ছয় মাসে সাড়ে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া আগে থেকে আশ্রয় নেয়াসহ বর্তমানে ওই অঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় দশ লাখ। ফলে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সংকট দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে এবং মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া এ সকল রোহিঙ্গার জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। বিশ্ব ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট এ্যানেট ডিক্সন গত পাঁচ দিন ধরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানদের ক্যাম্পগুলো সফর করেছেন। এতো বিপুল সংখ্যাক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন তিনি। তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক কক্সবাজারে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা এবং রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।

ডিক্সন বলেন, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা অনেক। কক্সবাজারের পাবর্ত্য এলাকায় যতদুর চোখ যায়, ততোদুর পযর্ন্ত লাইনের পর লাইন শুধু প্লাস্টিক শিট এবং বাঁশের তৈরি ছোট ছোট ঘর চোখে পড়ে। এতে অবকাঠামো এবং পানি সম্পদ ও পরিবেশের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে নানা ধরনের রোগ ব্যাধি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বাংলাদেশকে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডিক্সন রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরির্দশন করেন এবং এ সময় রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি এলাকার রেজিষ্ট্রেশন কেন্দ্র, স্বাস্থ্য ও খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র, শিশু কেন্দ্র ও নারী বান্ধব স্থানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সকল ব্যবস্থা রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে, তবে স্বাভাবিক জীবন পুনরায় শুরু করতে আরো সহায়তার প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ এ সকল অসহায় রোহিঙ্গাদের জন্য বিশাল উদারতা দেখিয়েছে। সংকট দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের এই সহায়তায় হাজার হাজার রোহিঙ্গার জীবন বাঁচিয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের জন্য আরো সহায়তার প্রয়োজন।