বার্তা পরিবেশক:
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে বেড়ে উঠা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এক সময়ের তুখোড় মেধাবী ছাত্রনেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ওসমান গণি মহেশখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক গণ সংযোগ করেছেন। গত শুক্রবার ও শনিবার ১৯ ও ২০ জানুয়ারী ২ দিন ব্যাপী মহেশখালীর প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন।
শুক্রবার সকালে পৌরসভাস্থ ইলা কমিউনিটি সেন্টারে একটি সামাজিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। সেখান থেকে উপজেলা চত্বর ও আদালত চত্বরের আশপাশে গণসংযোগ শেষে উপজেলা জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। জুমার নামাজ আদায় শেষে উপস্থিত মুসল্লিদের সাথে মতবিনিময় শেষে চলে যান কুতুবজুম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা এলাকায়, সেখান থেকে একে একে কুতুবজুমের বটতলা, কুতুবজুম বাজারে ব্যাপক গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে স্থানীয় তৃণমূল নিবেদিত আওয়ামীলীগ ও সংযোগী সংগঠনের কর্মীদের স্বর্তস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পড়ার মত। কুতুবজুম ইউনিয়ন গণসংযোগ শেষে ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের লম্বাঘোনা বাজারে গণসংযোগ শেষে শাপলাপুর ইউনিয়নের কায়দাবাদ বাজার, শাপলাপুর বাজার ও ষাইটমারা, জেমঘাট হয়ে দিনের কর্মসূচি সমাপ্তি ঘটান।
দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে প্রবেশ করেন বহুল আলোচিত দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া খ্যাত মাতারবাড়ী ইউনিয়নে। মাতারবাড়ীর প্রবেশদ্বার রাজঘাট হয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। একে একে নতুন বাজার,সিনজি স্টেশন,পুরানবাজার, সাইরারডেইল এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ শেষে প্রবেশ করেন নিজ জন্মভূমি ধলঘাটা ইউনিয়নে। ধলঘাটার নাছির মোহাম্মদ ডেইল, উত্তর মুহুরিঘোনা, দক্ষিণ মুহুরিঘোনা, সুতরিয়া বাজার এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ শেষ করেন। সবশেষে শাপমারাডেইল এলাকায় গণসংযোগ শেষে শাপমারাডেইলস্থ “হিলফুল ফুযুল সঙ্গের “নব নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দুদিন ব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটান। গণ সংযোগ কালে কুতুবজুম ও ছোট মহেশখালী,শাপলাপুর ইউনিয়নের দৃশ্যপট ছিল বেশ আলোচিত।।
সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত মুখকে দেখতে সবার উৎসাহ ছিল লক্ষণীয়। কুতুবজুমের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে আগামীর মহেশখালী-কুতুবদিয়ার অভিভাবক বলে আমজনতা বরণ করে নেন এবং চায়ের কাপে ঝড় উঠে আলোচনার। কুতুবজুমের বেশ কয়েকজন আওয়ামী রাজনীতির বিশ্লেষক এ প্রতিবেদক কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ওসমান ভাই শুধু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এ পরিচয় ছাড়া উত্তর মহেশখালীর বিশাল ভোট ব্যাংক, ক্লিন ইমেজ, সর্বোপরি এতদঅঞ্চলের জনপ্রিয় শহীদ পরিবারের সন্তান তথা ওসমান চেয়ারম্যানের জামাতা হওয়ায় উত্তর মহেশখালীর ৫ ইউনিয়ন ওনাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন।
মাননীয় আওয়ামীলীগ সভানেত্রী যদি নৌকা প্রতীক দিয়ে তাকে মূল্যায়িত করেন তাহলে ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচনে মরহুম ইসহাক বি,এ এর মত সফলতা চলে আসতে পারে। গণসংযোগ কালে তৃণমূল বান্ধব এ নেতা জানান,মহেশখালীকে মাষ্টার প্ল্যানের আওতায় এনে কুতুবজুম থেকে ধলঘাটা পর্যন্ত গণমুখী, সুষম উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। তিনি আর ও বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ও উন্নত বিশ্বের তালিকায় বাংলাদেশকে পৌছে দেওয়ার একমাত্র ঠিকানা হচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাই আগামীতে ও আরেক বার নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগ কে দেশ শাসনের সুযোগ করে দিতে হবে। গৃহ হীন মানুষের, দু:স্থ, স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের একমাত্র অবলম্বন জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য সবাই েেদায়া করবেন যাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।