সিবিএন ডেস্ক:
২০১৩ সালের পর ফের একবার রাজনৈতিক সংকটে পড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার ঠিক এক বছরের পূর্তিতে চরম রাজনৈতিক বিপর্যয় নেমে এল দেশটিতে। সেদেশের সরকারি ব্যয়ের জন্য আর্থিক মঞ্জুরি ও অভিবাসন সম্পর্কীয় ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এবং কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় সরকার ও বিরোধী দল। ডেমোক্র্যাটরা সরকারি ব্যয় এবং অভিবাসন ইস্যুতে আনা একটি বিল পাসের বিরুদ্ধে ভোট দিলে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
সিনেটে আর্থিক মঞ্জুরি প্রদান করা না হলে, বন্ধ হয়ে যেতে বসবে মার্কিন সরকারের সকল কাজকর্ম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কাজ বন্ধ হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করবেন মার্কিন নাগরিকরা আর সীমান্তে কর্তব্যরত মার্কিন সেনারা। এছাড়া ৭ লাখ সরকারি কর্মকর্তা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ যতদিন অচলাবস্থা থাকবে ততদিন তাদের উৎপাদনশীলতা কমতে থাকবে। এছাড়া বিদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যুকরণেও অচলাবস্থা দেখা দিবে।
এদিকে, এজন্য মার্কিন সিনেটরদের সম্মতি প্রয়োজন ছিল। যা নিয়েই বাধা হয়ে দাঁড়ায় মার্কিন সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেট। মার্কিন সরকার চালানোর জন্য যে বিলের প্রয়োজন ছিল, তা খারিজ করে দেয় সিনেট। মনে করা হচ্ছে মার্কিন রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাটদের এটি নীতিগত কৌশল, যার দ্বারা ট্রাম্প ও রিপাবলিকান সরকারকে আমেরিকার রাজনীতিতে সমস্যায় ফেলা হয়।
গোটা পরিস্থিতিতে আপাতত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার দল রিপাবলিকানদের আপস রফায় বসতে হবে বিরোধী ডেমোক্রেটদের সঙ্গে। গোটা ঘটনায়, বিপাকে ট্রাম্প সরকার। ডেমোক্রেটদের তরফেও ট্রাম্প সরকারের ওপর এ নিয়ে নিশানা তাক করা হয়েছে।
এই অচলাবস্থা চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সপ্তাহে ৬০০ কোটি ডলার লোকসান হবে। ২০১৩ সালের একই ধরনের এক অচলাবস্থায় সর্বমোট ২৪,০০ কোটি ডলার লোকসান হয় মার্কিন সরকারের। সেবছর এমন অচলাবস্থা ছিল ১৬ দিন ধরে।
তার আগে ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ২৭দিনের এক অচলাবস্থা ছিল। ১৯৯৫ সালের নভেম্বরে চারদিনের এক অচলাবস্থার পর ওই দীর্ঘমেয়াদি অচলাবস্থা এসেছিল। ওই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল বয়স্কদের স্বাস্থ্যবীমায় অর্থায়ন নিয়ে।