ছালাম কাকলি : মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে আদালতের নির্দেশ দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখায় এলাকায় চলছে টান টান উত্তেজনা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে যে কোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

মাতারবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর রাজঘাট এলাকার বাসিন্দা এজাহার মিয়ার পুত্র খোরশেদ আলম কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে লিখিত অভিযোগে জানান, তার দাদা আলী মুন্সির বহু জমি রয়েছে নতুন বাজার এলাকা জুড়ে। বি.এস ৩৯৭ নং খতিয়ানের বি.এস ১৩১৫১ নং দাগের অধীনে রয়েছে ১৩ শতক জমি। উক্ত জমিনের কিছু অংশে ঐ এলাকার ক্ষেত্রমোহন শীলের পুত্র সুনীল কান্তি শীল (পুরইন্যা) জোর পূর্বক তাদের ঐ জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণ করতে চাইলে খোরশেদ আলম তার আতœীয় স্বজন নিয়ে প্রতিপক্ষ সুনীল কান্তি শীল (পুরইন্যা) কে বাঁধা দেয়। বাঁধা অমান্য করে প্রতিপক্ষ দোকান ঘর নির্মাণ করার চেষ্ঠা করলে তিনি বাদী হয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একখানা অভিযোগ দায়ের করেন। যার মামলা নং-এম আর ১৬/২০১৮। ম্যাজিষ্ট্রেট বাদী পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে গত ১০ জানুয়ারী তারিখে বিরোধীয় জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং শান্তি শৃংখলা রক্ষায় মহেশখালী ওসিকে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া বিরোধীয় জমি সরজমিনে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য এসিল্যান্ট মহেশখালীকে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের একটি কপি মহেশখালীর ওসি প্রদ্বীপ কান্তি দাস বূঝে পেয়ে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য মাতারবাড়ী পুলিশের ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে পাঠিয়ে দেন। এ নিদের্শ পাওয়ার পর ক্যাম্প ইনচার্জ আমিনুর রহমান বিরোধীয় জায়গায় কোন ধরনের কার্যক্রম না করার জন্য বিরোধী সুনিল কান্তি শীলকে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ পাওয়ার পরও রাতে আধাঁরে দোকান ঘর নির্মাণের চেষ্ঠা চালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাকে কয়েকবার বাঁধা দিলেও বাঁধা অমান্য করে ঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে যে কোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।