নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের অধীন সদরের খুরুশকুল নতুন ঘোনারপাড়া থেকে পাহাড়ের মাটিভর্তি দুইটি ডাম্পার আটক করেছে বনবিভাগ। সেখান থেকে একটি আটক করে নিয়ে আসা হলেও টাকার বিনিময়ে আরেকটি ছেড়ে দেয়া দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারী) দুুপরে অভিযান চালানো হয়।
দফারফার বিষয়টি খোদ ডাম্পার চালক মো. কাইছার স্বীকার করেছেন। যার প্রয়োজনীয় রেকর্ড প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষিত আছে। অবৈধভাবে পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়া ডাম্পার ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের ক্ষুব্ধ করেছে।
খুরুশকুল ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বনকর্মকর্তাদের হাতেই বন সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। তাদের দূর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে বনখেকোরা। পাহাড়ের মাটিভর্তি গাড়ী আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ খুবই দুঃখজনক। এ সময় তিনি ‘রক্ষক এখন ভক্ষকের ভূমিকায়’ বলেও মন্তব্য করেন।
ডাম্পার চালক মো. কাইছার বলেন, বনকর্মীরা মাটিভর্তি দুইটি ডাম্পার আটক করে। আমার ডাম্পারটি নাম্বারবিহীন কালো রঙের। ডাম্পারে পাহাড়ের মাটি থাকার অপরাধে জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, এসিএফকে নগদ ২০ হাজার টাকা দিয়ে আমার ডাম্পারটি ছাড়িয়ে নিই। এই টাকার জন্য ‘জরিমানা স্লিপ’ দিয়েছে কিনা? জানতে চাইলে বলেন, কোন ধরণের স্লিপ দেয়নি। সব টাকা তারা (বনবিভাগ) খাওয়ার জন্য নিয়েছে।
ডাম্পার চালক মো. কাইছার নিজেকে ক্ষমতাবান ভাব দেখিয়ে বলেন, এমন কোন ব্যক্তি বা শক্তি আছে, যে আমার গাড়ি আটক করে নিয়ে যেতে পারে? তিনি ডাম্পার মালিক নুরুল আলম বহর্দার এর ছেলে।
এ প্রসঙ্গে জানতে সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) বেলায়েত হোসেনের মুঠোফোনে বারবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তিনি অন্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একটি গাড়ী জরিমানা নিয়ে ঘটনাস্থলেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জরিমানার পরিমাণ কত তা জানা যায়নি।