শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাভুক্ত ফুলছড়ি রেঞ্জে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে সামাজিক বনায়নের প্লট দখলের খবর পাওয়া গেছে। ১৬ জানুয়ারী দিবাগত রাত প্রায় দুইটা থেকে পরের দিন ও বেলা দুইটা পর্যন্ত কয়েক দফায় এ ঘটনা ঘটে। তবে, এতে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার জন্য স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাককে দায়ী করেছে এলাকাবাসী।
খবর পেয়ে বনবিভাগের লোকজন অভিযান চালিয়ে দুয়েকটি ঝুপড়ি ঘর ভেঙ্গে দেয়। এ পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনায় বনবিভাগের পক্ষ থেকে কোন ধরণের মামলাও হয়নি। ঘটনাকে অনেকে আইওয়াশ মন্তব্য করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, খুটাখালী ইউনিয়নের শিয়াপাড়া এলাকায় মৃত আলী আহমদের পুত্র আবদুর রশিদ প্রকাশ পেটান, ছৈয়দ আলমের পুত্র এনামুল হক, আলী হোসেনের পুত্র জসিম মেম্বার, তৈয়ম গোলালের পুত্র ইমাম শরীফ ও পেটানের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের সংঘবদ্ধ মহিলা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ২০০৪ ও ২০০৫ সালের সামাজিক বনায়নের আনুমানিক ৩০ কানি মত রিজার্ভ জায়গা রাতের অন্ধকারে ৮টি ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে দখল করে নেয়। পরদিন খবর পেয়ে কয়েকজন উপকারভোগী তাদের প্লটে গেলে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে দখলবাজরা।
কয়েকজন উপকারভোগীর অভিযোগ, দখলবাজদের সাথে ফুলছড়ি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাকের সাথে যোগসাজশ রয়েছে। খবর পাওয়া সত্ত্বেও তিনি না গিয়ে ভারপ্রাপ্ত বিট কর্মকর্তা আল আমিন ও হেডম্যান আবদু শুক্কুর মেম্বারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে নিজে দায়সারা দায়িত্ব পালন করেন।
অভিযোগ উঠেছে, ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক সরকারী বনভূমি দখল, মাদার ট্রি পাচার, পাহাড় কাটা, মাটি বিক্রিসহ হরেক রকম অপরাধে সহযোগিতা করে আসছেন। তার কারণে সরকারী বনভূমি রক্ষা হচ্ছেনা, বরং নিধন হতে চলেছে। বনখেকোদের সঙ্গেই তার গভীর সখ্যতা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদু শুক্কুর গুলিবর্ষণের বিষয়টি তিনি অবগত নয় বলে জানেন। তিনি বলেন, রেঞ্জ কর্মকর্তার অনুরোধে হেডম্যান হিসাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিট কর্মকর্তার সাথে ২টি ঝুপড়ি ঘর উচ্ছেদ করেন।
ফুলছড়ি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক বিট কর্মকর্তা আল আমিনসহ লোকজন পাঠিয়ে ঝুপড়ি ঘরগুলো উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলাও প্রক্রিয়াধীন।