এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের নিরাপত্তা বেষ্টনী থেকে পালিয়ে গেছে একটি বাঘ শাবক। শুক্রবার সকালে বেস্টনীর খাঁচা থেকে বাঘ শাবকটি পালিয়ে গেলেও রোববার পর্যন্ত তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনার পর থেকে পার্ক দর্শনে আসা পর্যটক-দশনার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে চরম আতঙ্ক। এ অবস্থার কারনে গত দুইদিন ধরে পার্কে দশনার্থী আগমনে ভাটা পড়েছে বলে জানিয়েছেন পার্কের গেইট ইজারদার পক্ষের সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালের দিকে সাফারি পার্কের বাঘের বেস্টনীর ভেতরে খাঁচা পরিস্কার করতে ঢুকে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তাকর্মী। ওইসময় বেস্টনীর খাঁচার দরজা খুলে পেয়ে দুইবছর বয়সের একটি বাঘ শাবক পালিয়ে গিয়ে পাশের বনাঞ্চলে ঢুকে পড়ে।
জানা গেছে, খাঁচা থেকে বাঘ শাবকটি পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সাফারি পার্কের সংশ্লিষ্টরা গত দুইদিন ধরে চেষ্ঠা করেও তাকে আটকাতে পারেনি। ঘটনাটি পার্কের আশপাশের লোকজনের মাঝে জানাজানি হয়ে গেলে গত দুইদিন ধরে সাফারি পার্ক দর্শনে আসা পর্যটক-দশনার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সাফারি পার্কের গেইট ইজারাদার পক্ষের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বেস্টনীর খাঁচা থেকে বাঘ শাবকটি পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে গত দুইদিন ধরে সাফারি পার্কে দশনার্থী আগমনে ভাটা পড়েছে। দশনার্থীদের মধ্যে এক ধরণের ভীতি দেখা দেয়ায় অনেকে সাফারি পার্কে এসেও দর্শন না করে ফিরে যাচ্ছেন।
জানতে চাইলে সাফারি পার্কের বনবিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাফারি পার্কের নিরাপত্তাকর্মীরা নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে বেস্টনীর ভেতরে খাঁচা পরিস্কার করতে ঢুকেন। ওইসময় খাঁচার দরজা খোলা পেয়ে অসাবধান: বশত দুইবছর বয়সের একটি বাঘ শাবক বেস্টনীর বনাঞ্চলে ভেতরে ঢুকে পড়ে।
সাফারি পার্ক দশনে আগত পর্যটক-দর্শনার্থীদের কোন ধরণের ভয় নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বাঘ শাবকটি খাঁচা থেকে বেরিয়ে গেলেও বাঘের নির্ধারিত বেস্টনীর ভেতরেই আছে। পার্কের ভেতরে অন্য কোন স্থানে যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ বাঘের বেস্টনীর চারিদিকে বাউন্ডারী ওয়াল রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি তাকে আটকানোর মাধ্যমে ফের খাঁচায় বন্দি করতে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।