প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রতœাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার স্টেশন সংলগ্ন সাতবাড়িয়াপাড়ায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুইটি বসতবাড়ী সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। ১৩ জানুয়ারি ভোর রাতে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় দুই বাড়ীতে বসবাসরত চারটি পরিবার সবকিছু হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছে। এক বাড়ীতে দুই পরিবার করে দুই বাড়ীতে তারা চার ভাই চার পরিবার নিয়ে বাস করতেন।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদ। ১৩ জানুয়ারি দুপুরে পরিষদের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এসময় তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা বোঝার চেষ্টা করেন।
এসময় ক্ষতিগ্রস্ত রুপন বড়–য়া বলেন, ভোর পাঁচটার পরে প্রথমে দেখি আমার পরিত্যক্ত লাকড়ির ঘরের এককোণে আগুন জ্বলছে। আমি আগুন দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশীদের অনেকে এগিয়ে আসেন। আমরা সবাই মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। ঠিক তখনই প্রায় পঞ্চাশ গজ দূরে অবস্থিত আমার বড় ভাই আশুতোষ বড়–য়ার বাড়িতেও দেখি আগুন জ্বলছে। কিছুক্ষনের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্ত আশুতোষ বড়–য়া বলেন, এক বাড়ীতে আমি এবং পরিতোষ বড়–য়া এবং অপর এক বাড়ীতে সুমন বড়–য়া এবং রুপন বড়–য়া মিলে আমরা চার ভাই চার পরিবার নিয়ে বাস করতাম। আমাদের শুধু বসতবাড়ী পুড়েনি টাকা, স্বণালংকারসর্হ সংসারের সবকিছু পুড়ে গেছে। এখন আমরা কি করবো জানি না।
এসময় পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার এবং উখিয়া সার্কেলসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলেন এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।
জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পর্যাপ্ত সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অমল বড়–য়া, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপক বড়–য়া, রাজু বড়–য়া, এডভোকেট আশীষ বড়–য়া, রামু উপজেলা শাখার সভাপতি রিটন বড়–য়া, কেন্দ্রীয় পরিষদের নির্বাহী সদস্য ভুলু বড়–য়া প্রমূখ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।