ডেস্ক নিউজ:
তাবলিগ জামাতের একাংশ, হেফাজত ও কওমিপন্থী আলেমদের বিরোধিতার মুখে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ না নিয়েই ফিরে যেতো হলো মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভিকে। শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মাওলানা মোহাম্মদ সাদ তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ছাড়েন। বিতর্কিত ও আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে সমালোচিত হয়েছিলেন দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের এ জিম্মাদার।
রমনা থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মাওলানা মোহাম্মদ সাদকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে আমরা বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়েছি।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এএসপি তারিক আহমেদ আস সাদিক জানান, শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় জেড এয়ারওয়েজের একটি বিমানে মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভি ঢাকা ত্যাগ করেন।
বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে গত বুধবার ঢাকায় আসেন মাওলানা মোহাম্মদ সাদ। কিন্তু বিতর্কিত ও আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে সমালোচিত মাওলানা সাদ ওই দিনই বিমানবন্দরে তাবলিগ জামাতের একাংশ ও আলামা-ওলামাদের বিক্ষোভ মুখে পড়েন। মাওলানা সাদ কান্ধলভী তার নিজের বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাকে ইজতেমা ময়দানে যেতে দেয়া হবে না বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তায় ওই দিন বিকেলে তাকে কাকরাইলে নেয়া হয়। শুক্রবার তিনি এ মসজিদে জুমার নামাজে বয়ান করেন।
এ দিকে বিশ্ব ইজতেমার বাইরে মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ইজতেমা ময়দানে এর কোনো প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। মাওলানা সাদকে কেন্দ্র করে বাইরে সৃষ্ট বিতর্ক ও উত্তেজনা ইজতেমা ময়দানের ভেতরে মুসল্লিদের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলেনি। আগত মুসল্লিদের যার যার মতো নামাজ আদায়, বয়ান শোনা ও ধর্মীয় কাজে মগ্ন থাকতে দেখা গেছে। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত ইজতেমায় মুসল্লিদের আগমন অব্যাহত রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।