এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :
চকরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ওইসময় ঘরের ভেতরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নুর নাহার বেগম (৭০)নামের এক বৃদ্ধা নারীর মর্মান্তিকভাবে মৃত্যৃ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের তেইল্যাকাটা এলাকার কৃষক সিরাজুল হকের বসতঘরে ঘটেছে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা। এর আগে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চকরিয়ার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় দেড়ঘন্টা চেষ্ঠা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও ততক্ষনে বসতঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে দমকল বাহিনীর প্রচেষ্ঠার কারনে গ্রামের বিপুল পরিমাণ জনবসতি আগুনের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে। নিহত নুর নাহার গৃহকর্তা সিরাজুল হকের স্ত্রী।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার জানান, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলাবাদ তেইল্যাকাটা এলাকার কৃষক সিরাজুল হকের বসতঘরে বৈদ্যুতিক সট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। ওইসময় আগুনের লেলিহান শিখা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে বসতঘররটি সম্পূর্ণ ভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডে নগদ টাকাসহ পরিবারটির অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।
তিনি জানান, আগুনের কন্ডলী দেখে আশপাশের এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে বসতঘরের ভেতর থেকে পরিবার সদস্যরদেরকে উদ্ধার করে বের করে আনেন। তবে ওইসময় গৃহকর্তার স্ত্রী নুর নাহার বেগম ঘরের ভেতর আটকে পড়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারায়। নিহত নুর নাহার বেগম দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিস (অবস) রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ঘটনার সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘর থেকে বেবিয়ে আসতে সক্ষম হলেও তিনি (নুর নাহার) বের হতে পারেনি।
নিহতের ছেলে জাহেদুল করিম জানান, বসতঘরে অগ্নিকান্ডের সময় আমার মাসহ পরিবারের নারী সদস্য ও শিশুরা ঘরে ছিলেন। আমরা তিনভাই ঘরের বাইরে ছিলাম। এতে পরিবারের সকলে প্রাণে বেঁেচ গেলেও ভাগ্যক্রমে আমার মা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।
এদিকে বরইতলী ইউনিয়নে বসতঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন মো.আরাফাত, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জোবায়ের হাসান ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার। ওইসময় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ব্যক্তিগতভাবে ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তার আওতায় ঢেউটিন ও নগদ টাকা এবং শীতেল কম্বল বিতরণ করা হয়। একইভাবে বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে কম্বল ও নগদ টাকা দেয়া হয়েছে। #
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।