প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের কাছারীমোড়া প্রিমিয়ার লিগের (কেপিএল) দশম আসরের প্রথম রাউন্ডের দশম খেলায় নাটকীয় জয় পেল উজানটিয়ার আব্দুর রহিমের সোনালী সুপার সিক্সার্স। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় কেপিএল মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় শিলখালীর সৈয়দ আলমের দ্যা বুলস্রে বিপক্ষে এ জয় নিশ্চিত করে সুপার সিক্সার্স। তাঁরা মাত্র এক রানের ব্যবধানে দ্যা বুলসকে হারায়।

বিকেল তিনটায় দুই দলের মধ্যে টস করেন অ্যাম্পায়ার নুর মোহাম্মদ মামুন ও মো. জুনাইদ। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় নির্ধারিত ১২ ওভারের খেলা। টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দ্যা বুলস্রে অধিনায়ক ইব্রাহিম। এরপর সোনালী সুপার সিক্সার্সের পক্ষের ওপেনার হিসেবে মাঠে নামেন বিদেশী খেলোয়াড় ইয়াছিন ও তৌহিদুল ইসলাম বদি। প্রথম ওভারের প্রথম দুই বলেই দুইটি উইকেট হারিয়ে বসে সোনালী সুপার সিক্সার্স। এরপর মাঠে আসেন কফিল ও অধিনায়ক তারেক জলিল। তাঁরা খুব সর্তকতার সঙ্গে ব্যাট চালাচ্ছিলেন। কিন্তু ১০ রান করে জুবাইরের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তারেক জলিল। মাঠে নামেন দেশীয় খেলোয়াড় ফাহিম। তিনি সাদ্দামের বলে শূণ্য রানে ফিরে গেলে চাপে পড়ে সোনালী সুপার সিক্সার্স। এরপর ক্রিজে আসেন মুজাহিদ। তিনিও ছয় রান করে আউট হলে মাঠে নামেন আবু তৈয়ব জনি। তিনি দুইটি চার হাঁকিয়ে ১০ রান করে ফিরে যান। এরপর শাহাদাত সিকদার মাঠে নেমে নয় রান নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তখন ব্যাটিং লাইন কাঁপাচ্ছিলেন কফিল। মাঠে নামেন বোরহান। তিনি এক রান নিতেই শেষ হয়ে যায় নির্ধারিত ১২ ওভারের খেলা। ততক্ষনে কফিল সংগ্রহ করেন সোনালী সুপার সিক্সার্সের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৪ রান। স্কোর বোর্ডে রান দাঁড়ায় ৭৮/৭।

৭৯ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামেন দ্যা বুলস্রে জুবাইর ও সোহেল। সোহেল শূণ্য রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দ্যা বুলস্। যখন স্কোর বোর্ডে তাদের রান ৫৪, তখন নেই তিন উইকেট! পরক্ষনে পাঁচ রান যোগ করতেই হারিয়ে ফেলে আরও পাঁচটি উইকেট। যখন দ্যা বুলস্রে যবুতবু অবস্থা, তখনই নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সোনালী সুপার সিক্সার্স। এর পরের ওভারেই নবম উইকেটের পতন ঘটলেই সিক্সার্সের জয় সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত সূত্রে একটি বাউন্ডারি ও একটি নো বলের সুবাদে চরম নাটকীয়তা নেমে আসে কেপিএল গ্রাউন্ডে। জয়ের জন্য যখন মাত্র দুই রান দরকার দ্যা বুলস্রে, তখন ১১ তম ওভারে বল হাতে আক্রমনে আসেন আবু তৈয়ব জনি। সমীকরণ এমন যে, সিক্সার্সের প্রয়োজন এক উইকেট আর দ্যা বুলস্রে প্রয়োজন মাত্র দুইটি রান। টান টান উত্তেজনা তখন গ্যালারীতে। স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়িয়ে নাইম। ইয়র্কার লেংথের ডেলিভারীতে নাইমের স্টাম্প উপড়ে ফেলে এক রানের নাটকীয় জয় নিশ্চিত করে সোনালী সুপার সিক্সর্সের জনি।

খেলায় চার উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন সুপার সিক্সার্সের তৌহিদুল ইসলাম বদি। ধারাভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বেলাল উদ্দিন বিল্লাল।

এরপর অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণ। কেপিএল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাহেদুল ইসলাম শাহেদের সভাপতিত্বে ও কেপিএল পরিচালনা কমিটির মহাসচিব তানজিমুল ইসলাম জিসাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসমাউল হুসনা। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিলখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শেখ ফরিদুল আলম, কেপিএলের প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক এস এম হানিফ, উপদেষ্ঠা আলম নূর, শিলখালী ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ বাহাদুর, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রসমাজের সভাপতি আরমান বিন কাশেম।

১৪ জানুয়ারি রোববার বিকেল তিনটায় টূর্ণামেন্টের ১১তম খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মুখোমুখি হবে উজানটিয়ার আবদুর রহিমের সোনালী সুপার সিক্সার্স ও পেকুয়া সদরের কামরান জাদিদ মুকুটের ম্যাগপাই বয়েজ।