মো. ফারুক, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী দক্ষিনপাড়া এলাকায় বসতবাড়ির ভিতর দিয়ে রাস্তা নিতে অভিনব কৌশল গ্রহনের অভিযোগ ওঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দীর্ঘ ৪০ বছরের বসতবাড়ি বেদখল হওয়ার আশংকা করছে ভুক্তভোগিরা। এছাড়াও দু’পক্ষে এ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
জানা গেছে, টইটং নাপিতখালী-মৌলভী বাজার সড়কের দক্ষিনপাড়ায় মৃত বদিউল আলমের পুত্র গোলাম মুস্তফা ও মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র মাহমদ হোছাইন দীর্ঘ ৪০বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। এছাড়াও তাদের আশেপাশে শতাধিক বসতবাড়ি রয়েছে। যার যার চলাচলের রাস্তাও রয়েছে। কিন্তু বিগত কয়েকমাস আগে একই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র মো: হেলাল গং তাদের বসতবাড়ির ভিতর দিয়ে রাস্তা তৈরি করতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করেন। এক পর্যায়ে গত ৪দিন আগে মো: হেলাল গং নাপিতখালী-মৌলভী বাজার সড়কে যেতে তাদের নিজস্ব জমির উপর একটি রাস্তা তৈরি করে। কিন্তু ওই রাস্তায় যেতে চাইলে গোলাম মুস্তফা ও মাহমদ হোছাইনের বসতবাড়ির উপর দিয়ে যেতে হবে। এছাড়াও হেলাল গং তাদের জমি এক ব্যক্তিকে বিক্রি করেছে বসতবাড়ির ভিতর দিয়ে রাস্তা তৈরি করে দিবে মর্মে চুক্তি সম্পাদন করে। ইতিমধ্য তারা রাস্তা তৈরি করতে নিষেধ করলে হত্যার মত হুমকি দিচ্ছে বলে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন।
গোলাম মুস্তফার ছেলে মো: পারভেজ বলেন, আমরা ৪০ বছর ধরে দক্ষিনপাড়ায় বসবাস করে আসছি। ইতিমধ্যে আমাদের বসতবাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা করতে মো: হেলাল গং স্থানীয় ছৈয়দ নুর, রমিজ উদ্দিন, শফি আলম ও মো: ইলিয়াছকে নিয়ে চক্রান্ত শুরু করেছে। পুলিশও নিয়ে এসেছিল। হুমকি দিচ্ছে যেকোন বিনিময়ে আমাদের বসতবাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা নিয়ে যাবে। জোরপূর্বক রাস্তা করলে বাড়ির মহিলাদের চলাচল অনেক অসুবিধার সম্মোখিন হবে। আমরা এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্থানীয় আমানউল্লাহ চৌধুরী বলেন, মো: হেলাল গং তাদের সুবিধার জন্য ইতোমধ্য মসজিদের জমি দখল করে রাস্তাটি তৈরি করেছে। এ রাস্তা দিয়ে নাপিতখালী সড়কে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। তাই গোলাম মুস্তফার বসতবাড়ির ভিতর দিয়ে রাস্তা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তারা।
ইউপি সদস্য শাহাদত হোছাইন এ বিষয়ে বলেন, নাপিতখালী মেইন সড়কের পাশের্^ দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে বসবাস করে আসছেন। ইতিমধ্য তাদের ভিটার উপর দিয়ে রাস্তা নিয়ে যাওয়া চেষ্টার কথা মৌখিকভাবে আমাকে জানিয়েছে। স্থানীয়ভাবে দুই পক্ষকে নিয়ে এ বিষয়ে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।