তৌহিদুল আরব :
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কারণে এবার হুমকিরমুখে কক্সবাজারের বনভূমি। ঘর-বাড়ী তৈরীর ও জ্বালানী হিসেবে এসব রোহিঙঙ্গা ব্যবহার করছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ ও বাঁশ। এছাড়া বিশাল বনভূমির বেশিরভাগ এখন রোহিঙ্গাদের দখলে। এভাবে চলতে থাকলে উখিয়া-টেকনাফ থেকে হারিয়ে যাবে বনভূমি। যা বড় ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে পরিবেশের ওপর।

জাতীসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-নিপীড়নের মুখে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তবে স্থানীয়রা বলছেন গেল ২৫ আগষ্ট থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে অন্তত ৯ লাখ রোহিঙ্গা। বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গার আবাসন ও ভরণ-পোষনে সরকার ও দেশী-বিদেশী সংস্থাগুলোকে অনেকটা হিমশিমই খেতে হচ্ছে। নতুনকরে সংকট দেখা দিয়েছে সৃষ্টি জ্বালানীতে।

বিভিন্ন তথ্যমতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের রান্নার কাজে প্রতিদিন ৫ লাখ কেজির বেশী কাঠ ব্যবহার হচ্ছে। আর এই কাঠ সংগ্রহ করা হচ্ছে আশপাশের বনভূমি থেকে।
উজাড় হচ্ছে উখিয়া-টেকনাফসহ পাশ্ববর্তী এলাকার বনভূমি। রোহিঙ্গারাই গাছ কেটে বিক্রি করছেন আশ্রয় কেন্দ্রে।

পরিবেশের উপরে বড় ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা করছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। খাদ্যের সঙ্গে ত্রান হিসেবে ঘর তৈরির সরঞ্জামও জ্বালানী দেয়ার পরার্মশ বন কর্মকর্তার। আর রোহিঙ্গাদের পাহাড় থেকে সরিয়ে আনার বিকল্প দেখছে না স্থানীয় প্রশাসন।

সরকারী হিসেবে উখিয়া-টেকনাফের ৩ হাজার একর বলা হলেও বেসরকারী হিসেবে আরো বেশী বনভূমি এখন রোহিঙ্গার দখলে।
ফলে হুমকির মুখে কক্সবাজারের বনভূমি।