আমান উল্লাহ আমান, রাঙ্গামাটি থেকে ফিরে: 

নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যরে এক অপার লীলাভূমি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। এখানে পাহাড়ের পাদদেশে আঁকাবাঁকা সড়ক ও কোল ঘেঁষে ঘুমিয়ে আছে শান্ত জলের হ্রদ। সীমানার ওপারে নীল আকাশ মিতালী করে হ্রদের সাথে, চুমু খায় পাহাড়ের বুকে। এখানে চলে পাহাড় নদী আর হ্রদের এক অপূর্ব মিলনমেলা। চারিপাশ আঁকা যেন জল রংয়ের ছবি। রাঙ্গামাটিতে ভ্রমন করার জন্য রয়েছে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান। এর মধ্যে কাপ্তাই লেক, পর্যটন মোটেল, ডিসি বাংলো, ঝুলন্ত ব্রিজ, পেদা টিংটিং, সুবলং ঝর্না, রাজবাড়ি, রাজবন বিহার, উপজাতীয় জাদুঘর, কাপ্তাই হাইড্রো ইলেক্ট্রিক প্রজেক্ট, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

এর মধ্যে রাঙ্গামাটি লেকের নীল সবুজ পানি, ঝুলন্ত ব্রিজ, সুবলং ছোট ও বড় ঝর্না ও রাজবন বিহার দেখার উদ্দেশ্যে দুই দিনের ভ্রমন যাত্রা।

প্রথম দিন ৫ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ৬ টায় রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন হ্নীলার ব্যানারে কয়েকজন বন্ধু ও তাদের পরিবার। কনকনে শীত। তবু ভোর ৪টায় বিছানা ছেড়ে উঠা। ছেলে-মেয়ের সাজ-গোজের পাশাপাশি বড়দেরও কমতি কি। হালকা সকালের নাস্তা সেরে যথাসময়ে প্রধান সড়কে গাড়ীর জন্য অপেক্ষায় স্ব-পরিবারে। ছেলে মেয়েদের চোখে মুখে খুশির আমেজ। শীত তাদের কাবু করতে পারছেনা। ৬ টা বেজে গেছে। কিন্তু যথাসময়ে গাড়ী পৌঁছেনি। এই সময়ে সকল বন্ধুদের সাথে মোবাইলে আলাপন। এক ঘন্টা দেরীতে দমদমিয়া গ্রাম থেকে গাড়ীতে উঠে জাদীমুরা গ্রামে অপর বন্ধু শিমুল চন্দ্র ধরের জন্য ফের অপেক্ষা। কুশল বিনিময় শেষে এতো দেরী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মিসেস এ্যানি ধর সকাল ৬ টার পরিবর্তে নাকি ৯ টায় শুনেছেন। এনিয়ে অট্রহাসিতে বন্ধুরা। প্রায় ২০ মিনিট দেরীতে স্ব-পরিবারে বাসে উঠে এবং কিছু দুরে অপর বন্ধু আব্বাছ উদ্দিনের গ্রামে পৌঁছে গেল বাসটি। এরপর ছৈয়দুল আমিন প্রিম ও ইসমাইলকে উঠানোর পর এক হতাশা সংবাদ পেলাম। জানা গেল প্রিয় বন্ধু মোহাম্মদ আলী মেম্বার বিশেষ কাজে ভ্রমনে যেতে পারছেনা। তার এই খবরে বন্ধুরা হতাশ ও নারাজ। অবশ্যই তাকে যেতে হবে। তাকে নিতে দায়িত্ব দেওয়া হলো মোঃ ইসমাইলকে। অনেক পিড়াপীড়ির এক পর্যায়ে সে না গেলেও তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েদের ভ্রমনের অনুমতি মেলে। প্রায় আধ ঘন্টা দেরীতে তাদের নিয়ে মোছনী গ্রাম থেকে আবারো বাস যাত্রা শুরু। সকাল সাড়ে ৮ টায় বাসটি হ্নীলা স্টেশনে পৌঁছল। সেখানে অপেক্ষায় থাকা আবদুল আজিজ ও তার পরিবার, মোঃ ইউনুছ, নুরুল হোসাইন ভূট্টো, মোঃ ইলিয়াছ কে নিয়ে ৯ টার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছুঁটতে লাগল বাসটি। সবাইকে সকালের নাস্তা হিসেবে হালুয়া-পরটা, পাউরুটি, কলা, ও পানি দেওয়া হলো। সাথে চকলেটও। হৈ হুল্লোড় আর গল্প করতে করতে ১১ টার দিকে কক্সবাজারের পৌঁছে গেল বাসটি। যেখানে অপেক্ষা থাকার কথা নুর মোহাম্মদ সাগর ও আমিনুল ইসলাম সৈকত এবং তাদের পরিবার। টেকনাফ থেকে কক্সবাজার গাড়ীটি পৌঁছতে পারলেও যথাসময়ে তারা নির্ধারিত স্থানে পৌছঁতে পারেনি, কথায় আছে ‘‘৯ টার গাড়ী কয়টায় ছাড়ে”। এই অবস্থায় আমরা সাড়ে ১১ টার দিকে তাদের সাথে নিয়ে রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। চট্টগ্রাম থেকে আরও দুই বন্ধু আলা উদ্দিন রাসেল ও রিদুয়ানুল হক কে বাসে তুলতে হবে। দুরন্ত গতিতে ছুঁটছে গাড়ী। দুপুরের খাবার ও জুম’আর নামাজ আদায়ের জন্য ১ টার দিকে দক্ষিন পটিয়ার একটি স্থানে গাড়ী পার্কিং করা হলো। সেখানে জুম’আর নামাজ আদায় করে একটি অভিজাত রেঁস্তুরায় খাবার সেরে প্রায় এক ঘন্টা পর ফের যাত্রা শুরু গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। সাড়ে তিনটার দিকে গাড়ী চট্টগ্রামে পৌঁছলো। সেখানে ২ নং গেইট থেকে বন্ধু রিদওয়ানুল হক ও চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয় গেইট থেকে তুলে নেওয়া হয় অপর বন্ধু রাসেলকে উঠিয়ে সরাসরি রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। রাঙ্গামাটির প্রবেশদ্বারে পৌঁছতেই ততক্ষণে সুর্য্যি মামা বিদায় নিয়েছে। অন্ধকারে গাড়ীর হেড লাইনে সামনের দিকটা দেখা গেলেও দুই পাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আবছা আলোতে অবলোকন করা যাচ্ছিল। আকাঁবাঁকা ও ঢালু পথে উঠা নামা করছে বাস, এসময়ে গাড়ীটি যখন টার্নিং পয়েন্টে মোড় নেয় তখন অনেকে ভয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। বিশেষ করে সহধর্মীনিদের অবস্থা কাহিল। এই সময়ে কৌতুক ও গানের আসরে সবাইকে মাতিয়ে তুলে বন্ধু আলাউদ্দিন রাসেল। অবশেষ নির্ধারিত স্থান রাঙ্গামাটির রাজবাড়ীতে রাত ৭টার দিকে পৌঁছ গেল গাড়ী। সেখানে বন্ধু শিমুলের এক পরিচিত বন্ধুর মাধ্যমে আগে থেকে বুকিং দেওয়া ছিল সদ্য উদ্বোধন করা নতুন হোটেল মতি মহল, যা খুব সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর লেকের পাদদেশে দাঁড়ানো। যা দেখে সকলে সন্তুষ্ট। প্রতিটি পরিবারের জন্য আলাদা আলাদা রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশ্ববর্তী একটি হোটেলে রাত আটটার দিকে রাতের খাবার হলো। খাবার সেরে সকল বন্ধুরা হোটেলের সম্মেলন কক্ষে ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশনের একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে সকল বন্ধুদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী দিনের সিডিউল ঠিক করা হলো। সভা শেষে রাত ব্যাপী পুরনো বন্ধুদের একসাথে পেয়ে খোশ গল্পে মেতে উঠে সবাই। কখন যে সূর্য্য উঠে গেল বুজতেই পারেনি। পরবর্তী দিনের জন্য কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।

ভ্রমনের দ্বিতীয় দিন : ৬ জানুয়ারি শনিবার সকাল আটটায় ভ্রমনের দ্বিতীয় দিন শুরু নাস্তার মাধ্যমে। পার্শ্ববর্তী একটি হোটেলে সবাই একসাথে নাস্তা সেরে বন্ধু আলা উদ্দিন রাসেলের ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশনের লোগো যুক্ত গেঞ্জি ও আবদুল আজিজের ক্যাপ পরিহিত হয়ে গাড়ী নিয়ে নৌকা ঘাটে পৌঁছে গেলাম। এর মধ্যে বন্ধু আজিজ ভ্রমনকালীন ¯েœক্স এর আয়োজন করে। ইতিমধ্যেই সৌন্দর্য্য মন্ডিত ঝকঝকে একটি হলুদ রংয়ের ইঞ্জিন নৌকা সাধন নামক শিমুলের এক বন্ধু আগে থেকে ভাড়া করে রেখেছে। প্রায় এক ঘন্টা দেরীতে র্ঙ্গাামাটি হ্রদে নৌকায় উঠা হলো সুবলংয়ের উদ্দেশ্যে। সবুজ ও নীল বর্ণের স্থির শীতল পানির উপর আকাঁবাঁকা হ্রদ দিয়ে চলছে নৌকাটি। দুই ধারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পাহাড়, হ্রদে পান কৌড়ির ডুব দেখে ছেলে মেয়েরা খুশিতে মাতোয়ারা। স্মৃতির এ্যালবামে বন্ধী করতে যে যার পরিবার আর বন্ধুদের নিয়ে ফটো সেশন ও সেলফীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। মুহুর্তে ফেসবুকে আপলোড দিয়ে ভ্রমনের আনন্দটুকু জানান দিচ্ছে অনেকে। নৌকার ছাঁদে বসে খেলায় মগ্ন হয়ে উঠে অনেক বন্ধু। বন্ধুদের স্ত্রী-সন্তানরা আড্ডায় মেতে উঠে। পাশাপাশি চলতে থাকে ফটোশেসন। চলার পথে ১০ মিনিট বিরতি নিয়ে বরকল উপজেলার জুমঘর রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবারের অর্ডার দেওয়া হলো। সুবলংয়ের প্রাকৃতিক ঝর্ণা দেখে ফেরার পথে দুপুরের খাওয়া হবে।

অর্ডার শেষে নৌকা নিয়ে আবারো যাত্রা। অবশেষে পৌঁছে গেলাম সুবলংয়ের প্রাকৃতিক ঝর্ণার পাশে। একি! ঝর্ণায় তো পানির দেখা নেই। শুকিয়ে কাতর। হতাশ হয়ে ফিরতে লাগলাম। শুধু আমরা নই। শত শত ভ্রমন পিপাসু পর্যটকের একই অবস্থা। তবু অনেকে শুকনো ঝর্ণার স্বাক্ষী হতে ফটো সেশনের ব্যস্ত। ফেরার পথে নৌকার মাঝি জানিয়ে দিল অপর একটি ছোট্ট ঝর্ণার খবর। এবার ছুটলাম ওই দিকে। পৌঁছে সত্যি মুগ্ধ সবাই। ঝির ঝির করে বহে পড়ছে পানি। সবাই যে যার মতো সেলফী ও ফটো উঠিয়ে খুশিতে মাতোয়ারা হয়ে পড়ে। আমাদের পর উপচে পড়েছে আরো অনেক পর্যটক।

সেখানে অনেক্ষন সময় ব্যয় করে ফের নৌকায় করে অর্ডার দেওয়া জুমঘর রেস্টুরেন্টে পৌঁছে গেলাম। এখানে উল্লেখ্য যে, নৌকাটি সারা দিনের জন্যে ভাড়া করা হয়েছিল। হাত-মুখ ধুয়ে সকলে খাবার টেবিলে। অর্ডার ম্যানুতে ছিল বন্য মুরগী দিয়ে ব্যাম্বো চিকেন, আলু ভর্তা, সাদা ভাত ও ডাল। এখানে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে মুরগী নাকি বাঁশের ভিতরে রেখে রান্না হবে। ভিন্ন ধরনের এই রান্নার স্বাদ কেমন হবে তা জানতে সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিছুক্ষন পর হোটেল বয় পরিবেশন করতে লাগলো খাবার। দেখতে পেলাম কাঁচা বাঁশের ফালিতে ছোট ছোট কয়েক টুকরো রান্না করা মুরগীর মাংস। নাম দিয়েছে ‘ব্যাম্বো চিকেন’। তাতে চার জনের জন্য ধার্য্য করা। তা দেখে সকল বন্ধুদের চোখ কপালে! এ কি ধরনের প্রতারণা। তবু কি করা, ক্ষুদার জ্বালায় সকলের পেট ছোঁ ছোঁ করছে। যেমন তেমন বকাবকি শুরু অনেক বন্ধুরা। এমনকি ম্যানুর বাহিরে সালাদও নাকি দেওয়া যাবেনা। অথচ আকাশচুম্বী দাম নেওয়া হলো। অবশেষে কোন রকমে খাওয়া পর্ব শেষ করা হলো। সেখানে একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা পরবর্তী যে কোন সময়ের জন্য অর্জন করা গেলো। অনেকে টাট্টা করে ‘বাঁশ হোটেল’ নাম দিয়ে এখনো অট্রহাসি আর মজা করতে লাগলো।

অবশ্যই জুমঘর রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারের ভিন্ন বক্তব্য। খাওয়ার ফাঁকে আলাপকালে ম্যানেজার জানায়, অর্ডারের বাহিরে সালাদ সরবরাহ করলে রাঙ্গামাটিতে উৎপন্ন বিভিন্ন প্রকারের ফলাদীর বিক্রি হবেনা। ফলে চাহিদা কমে যাবে বলে মত প্রকাশ করেন হোটেল ম্যানেজার।

যাই হোক, খাবার শেষে আবারো নৌকায় উঠে ঝুলন্ত ব্রীজ অবলোকন করতে যাত্রা শুরু। প্রায় ঘন্টা খানেক পর কাংখিত ঝুলন্ত ব্রীজে পৌঁছে গেলাম। যে যার মতো ঘুরতে লাগলো। সেখানে পছন্দনীয় ফল আনারস বিক্রি করতে দেখে ছেলে-মেয়েদের হাতে ধরিয়ে দিলাম একটি করে। আনারসের মজাই আলাদা। আনারস কিনতেও পর্যটকদের ভীড়। নৌকায় করে আনারস বিক্রি সকল পর্যটকদেরকে আকৃষ্ট করেছে। ঝুলন্ত ব্রীজ ও আশপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অবলোকন করে প্রায় ঘন্টা খানেক পর আবারো নৌকায় ছড়ে রাজবাড়ীর বৌদ্ধ বিহারের দিকে রওয়ানা শুরু হলো। ততক্ষনে আছরের আযান শুরু হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের নীল ছল ছল পানির উপর দিয়ে ছুটে চলা নৌকাটি আরো আধ ঘন্টা পর বৌদ্ধ বিহারে পৌঁছেছে। সেখানে কিছুক্ষন সময় কাটানোর পর আবারো নৌকায় ছড়ে অপর একটি বৌদ্ধ বিহারে নেমে পড়লাম। ততক্ষনে মাগরিবের সময় পার হয়েছে। নৌকাওয়ালাকে বিদায় দেওয়া হলো। সকলে বৌদ্ধ বিহার হয়ে প্রায় দুই মাইল পর্যন্ত বিরক্তিকর পথ হেঁটে প্রধান সড়কে পৌঁছে গেলাম। সবাই ক্লান্ত শরীরে অপেক্ষামান থাকা গাড়ীতে উঠে সোজা হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লো। ঘন্টা খানেক সময় কেনাকাটার পর রাত আটটায় টেকনাফের উদ্দেশ্যে গাড়ী ছেঁড়ে দেওয়া হলো। রাতের আধাঁরে আঁকাবাঁকা ঢালু পথ অতিক্রম করছে গাড়ী। অনেকে ঘুমে বিভোর। চট্টগ্রামে পৌছে একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খাওয়া হলো। সেখান থেকে বিদায় নিয়েছে রিদুয়ান, রাসেল, ছৈয়দুল আমিন, আজিজ ও ইউনুছ।

বাকী বন্ধুদের নিয়ে ভোর তিনটার দিকে কক্সবাজার পৌঁছলে সেখানে সাগর ও সৈকত স্বপরিবারে নেমে পড়ে। অবশেষে আমরা কয়েকজন ফজরের পর টেকনাফ পৌঁছে গেলাম। বছরের শুরুতেই নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি রাঙ্গামাটি দেখা হলো। সেই রাঙ্গামাটিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চক্র সাধারন পর্যটকদের সাথে প্রতারণায় নেমে পড়ে। এর মধ্যে জুমঘর রেস্টুরেন্ট অন্যতম। ‘ব্যাম্বো চিকেন’ নাম দিয়ে প্রতারণা করে পর্যটকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। আর এই জুম ঘরের ‘ব্যাম্বো চিকেন’ সকল বন্ধুদের হাসির খোরাক জুগিয়েছে।

ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন হ্নীলা এর উদ্যোগে প্রতিবছর স্বপরিবারে ভ্রমন করা হয়। আগামী ভ্রমন সেন্টমার্টিন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভ্রমনকে সার্থক ও সাফল্য করতে পুরো দায়িত্বে ছিলেন ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্বাছ উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক আবদুল আজিজ ও অর্থ সম্পাদক শিমুল চন্দ্র ধর। তাদের সর্বাত্মক সহযোগীতা করেছে বন্ধু আলা উদ্দিন রাসেল। কিছু কথা, কিছু ব্যথা, কিছু অপারগতা ব্যতিত একটি সুন্দর ভ্রমন হয়েছে। স্বার্থক ও সফল হয়েছে ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন হ্নীলা। কিছু ব্যর্থতার মাঝে অর্জন হয়েছে অনেক সফলতা। দৃঢ় হয়েছে বন্ধুত্বের বন্ধন। অর্জন হয়েছে অনেক অভিজ্ঞতা। সময়কে গুরুত্ব না দেওয়ায় সিডিউলে কত ব্যাঘাত ঘটেছে তারও ভাল শিক্ষা হয়েছে। সর্বোপরি দুই দিনের ভ্রমনটি আগামী ভ্রমন পর্যন্ত আনন্দ দেবে। পরিশেষে ‘বন্ধু যেন তোদের শত জনম পাই, এই বন্ধুত্বের হাত ধরে এক সাথেই চলতে চাই, চীর অটুট থাকুক বন্ধুত্বের এই বন্ধন, এই হোক ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশনের স্লোগান।

লেখক- আমান উল্লাহ আমান, কার্যকরী কমিটির সদস্য, ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন হ্নীলা ও সাংবাদিক।