এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:
চকরিয়ায় প্রকাশ্যে দিবালোকে এক অসহায় কৃষকের ধানক্ষেত শত্রুতার জের ধরে মই দিয়ে বোরো মৌসুমের পাঁচ শতক জমির রোপিত ধান গুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা।এনিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জমির কৃষক আবুল কালাম বাদী হয়ে তিনজনকে অভিযুক্ত করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলার বানিয়ারছড়া ষ্টেশনের দক্ষিণে কক্সবাজার মহাসড়কস্থ লাগোয়া নলবিলা মৌজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে,বানিয়ারছড়াস্থ নলবিলা মৌজা এলাকায় বরইতলী ইউনিয়নের মো.আলী হোসেনের পুত্র আবুল কালাম পৈত্রিক ভিলেজারী সুত্রেপ্রাপ্ত ভোগদখলীয় জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ ও ক্ষেত খামার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল।গত ৩জানুয়ারী দুপুর ১টার দিকে একই এলাকার মৃত মনুর আলমের স্ত্রী বেবী আক্তার,ইসলাম নগর এলাকার মো:নেজাম ও লক্ষ্যাচর এলাকার বদিউল আলমের নেতৃত্বে তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে আবুল কালামের চাষাবাদকৃত ধানক্ষেতে বেবী আক্তারের স্বামীর জায়গা রয়েছে দাবী করে কালামের রোপিত ধানে মই দিয়ে গুড়িয়ে দেয় এবং চতুরপার্শ্বের ঘেরাবেড়া ভাংচুর চালিয়ে তান্ডব চালায় দুবৃত্তরা।বিভিন্ন সময় ওই জায়গায় ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে একাধিকবার জমিতে অনুপ্রবেশ চেষ্টা চালায় বেবি আক্তার ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা।
অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবুল কালাম জানান,প্রতি বছর বছর তার ভোগদখলীয় ও ক্রয়কৃত জায়গায় স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অভিযুক্ত বেবি আক্তার নানা অজুহাত দেখিয়ে আমার জায়গার মধ্যে তার স্বামীর জায়গা রয়েছে দাবী করে প্রায় আটলক্ষাধিক টাকার মতো ক্ষতি সাধন করেছে বলে জানান।তিনি বলেন,তার স্বামীর প্রাপ্ত ভিলেজারী জমি আমবাগান থেকে ৬০শতক জমি বিক্রি ছাড়াও আরো অন্যত্র নাল জমি থেকে ১০শতক জমি বিক্রি করে নি:স্বত্ববান হন বলে তিনি দাবী করেন।সর্বশেষ তার দখলীয় জায়গার ধানক্ষেত গুড়িয়ে ও ক্ষেতের ঘেরাবেড়া ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে প্রায় ৪০হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করেছে প্রতিপক্ষ বেবি আক্তার।এনিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কালাম বাদী হয়ে বেবি আক্তার,মো:নেজাম ও বদিউল আলমকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মো:বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ধান ক্ষেত মই দিয়ে গুড়িয়ে দেয়ার এবং ভাংচুরের বিষয়ে থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।অভিযোগটি থানার উপপরিদর্শক(এস আই)গৌতম সরকারকে তদন্তের জন্য দেয়া হয়েছে।তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তা আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।