যমুনা অনলাইন:
বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি আর অপচয় আড়াল করতেই মূল্যবৃদ্ধি করছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি। যার খেসারত দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি-ক্যাব। সংগঠনটি বলছে, মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোম্পানির বোর্ডে থাকা সাবেক ও বর্তমান উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তাদের ইন্ধন আছে।

গত ২৩ নভেম্বর আরেক দফা বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম। এবার, ইউনিট প্রতি দাম বাড়ে ৩৫ পয়সা করে। তবে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি’র সেই সিদ্ধান্ত কেন অন্যায় ও অযৌক্তিক, কয়েক দফায় তা তুলে ধরেছিল কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব।

ফলে বিদ্যুতের মূল্যস্ফীতিতে বাড়ছে জীবনযাত্রার ব্যয়; যার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের ওপর মুল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপাতে বিইআরসি তৎপর, কিন্তু বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপচয় বন্ধে নেই কোনো উদ্যোগ। সাথে অধিক মুনাফার স্বার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণকারী কোম্পানীগুলোর স্বার্থেও মূল্যবৃদ্ধি করা হয় বলে অভিযোগ ক্যাবের।

ক্যাব’র উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ খাতের অনিয়ম দুর্নীতি অনুসন্ধান ও বন্ধে ভোক্তাদের প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের তদারকি ও নীতি নির্ধারণী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানান তিনি।

দ্রুত মুল্যবৃদ্ধির অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্যাব নেতারা।

ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও যদি সরকার দাম না কমায় তবে আমাদের আইনি ব্যবস্তা নেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।

সরকারি মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের কারণেই বেসরকারি বিদ্যুৎ খাতে নীট মুনাফা দাঁড়াচ্ছে ৩৩ শতাংশে। যা অন্য যেকোনো ব্যবসার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বলে জানান ভোক্তা অধিকারের সাথে সম্পৃক্ত নেতারা।