ডেস্ক নিউজ:
২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় আত্মসমর্পণ ছাড়াই আপিল করার অনুমতি চেয়ে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। অর্থাৎ হাইকোর্টের আদেশই এখানে বহাল থাকল।
রোববার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ আদেশের ফলে নাজমুল হুদাকে আত্মসমর্পণ করতেই হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
হুদার আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল।
আকতার হোসেন লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর জাহির হোসেনের কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুদক নাজমুল হুদা দম্পতির বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করে। এ মামলায় জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন এমপি হোস্টেলে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ২৭ আগষ্ট এক রায়ে নাজমুল হুদাকে ৭ বছর ও সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই দম্পত্তি হাইকোর্টে আপিল করেন। এ আপিলের উপর শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২০ মার্চ এক রায়ে হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের পহেলা ডিসেম্বর হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন এবং পুনরায় হাইকোর্টে বিচার করার নির্দেশ দেন। এরপর মামলাটির পুনরায় শুনানি শেষে গত ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে নাজমুল হুদাকে চার বছর কারাদণ্ড এবং সিগমা হুদাকে তার কারাভোগকালীন সময়কে সাজা হিসেবে ঘোষণা করেন। আদালত নাজমুল হুদাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এ রায়ের কপি পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
কিন্তু নাজমুল হুদা আত্মসমর্পণ না করে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ওই রিট আবেদন গত ১০ ডিসেম্বর খারিজ করে দেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ। এরপর তিনি আত্মসমর্পণ ছাড়াই আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।