আবদুর রাজ্জাক,কক্সবাজার :

র‌্যাব-৭’র একটি চৌকষ দল গভীর বঙ্গোপসাগরে একটি ফিশিং ট্রলারে অভিযান চালিয়ে ২০ কোট টাকা মূল্যের ৫ লক্ষ ইয়াবাসহ ৮ মাঝি-মাল্লাকে আটক করেছে। র‌্যাব সদস্যরা এসময় উক্ত ফিশিং ট্রলারটি জব্দ করে।

০৫ জানুয়ারী শুক্রবার ভোর ৬ টা ৪৫ মিনিটের সময় র‌্যাব সদস্যরা এ অভিযান চালায়। আটককৃত মাঝি-মাল্লারা হলেন, মোঃ কালু মাঝী (৪৫) পিতা মৃত নূর মোহাম্মদ,সাং-সরেঙ্গ,মোঃ রফিক(৫২) পিতা মৃত আব্দুল জলিল সাং-খুলুশকুর,মোঃ রফিক (৪৫) পিত মৃত ছালে আহমদ সাং- গহিরা পোষ্ট-গদ্দ বাজার,মোঃ হাসান (৩০) পিতা মৃত খবির আহমেদ সাং- দক্ষিন সরেঙ্গা পোস্ট-সুন্নপারা ,হাসমত আলী (৩৫) পিতা মজ্জল আহম্মদ সাং-গহিরা,নুরুল আলম(৩৭) পিতা মৃত সোলেমান সাং-গহিরা পোষ্ট-দোবাসীর হাট,মোঃ নাসির (৪৫) পিতা মৃত ইউসুফ আলী সাং- গদ্দ গহিরা,মজিবুল ইসলাম (৪০) পিতা মৃত আব্দল মান্নান সং-গহিরা সর্ব থানা- আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রাম।

র‌্যাব-৭’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক(মিডিয়া) মিমতানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, একটি মাদক সিন্ডিকেট ফিশিং ট্রলারের অন্তরালে বিপুল পরিমান ইয়াবা নিয়ে মায়ানমার হতে কক্সবাজারের দিকে যাত্রা করার আগাম সংবাদ পেয়ে ০৫ জানুয়ারী শুক্রবার ভোর ৬ টা ৪৫ মিনিটের সময় র‌্যাব-৭’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন আহম্মদের নেতৃত্বে একদল র‌্যাব সদস্য গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারের সন্নিকটে গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত একটি মাছ ধরার ট্রলারকে ধাওয়া করে আটক করে। পরবর্তীতে আটককৃত ট্রলারটি তল্লাশী চালিয়ে ট্রলারের মাছ রাখার প্রকোষ্ঠের ভিতর সুকৌশলে লুকানো ৫ লক্ষ পিস ইয়াবাসহ ট্রলারে থাকা মোঃ কালু মাঝী, মোঃ রফিক,মোঃ হাসান,হাসমত আলী,নুরুল আলম, মোঃ নাসির,মজিবুল ইসলাম ও ,মোঃ রফিক নামের ৮ মাঝি-মাল্লাকে আটক করে। র‌্যাব সদস্যরা এসময় ইয়াবা বহনকারী উক্ত ফিশিং ট্রলারটি জব্দ করে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্যে ২০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে ।

র‌্যাব-৭, কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ রুহুল আমিন জানান,গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা মায়ানমার হতে উক্ত ইয়াবা নিয়ে কক্সবাজার আসে এবং আরো জানা যায় যে, আটককৃত ইয়াবার মালিক মোঃ ইউসুফ (৪৫), গ্রামঃ মুরালী, থানাঃ পটিয়া, জেলাঃ চট্টগ্রাম। ইতিপূর্বে তারা বেশ কয়েকটি চালান খালাস করেছে।

গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র‌্যাব সূত্রে প্রকাশ।