জাহেদুল ইসলাম, লোহাগাড়া প্রতিনিধি:
লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর বাজারে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে বাংলা মদ, গাঁজা, হিরোইন, ফেন্সিডিলসহ নানান মাদক। মাদকের নেশায় ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। এলাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরাধ প্রবনতা। দিরদিন যতই বাড়ছে বাংলা মদের ব্যবসা ততো অপরাধ প্রবনতার সংখ্যাও বাড়ছে আধুনগর বাজারে। পুরাতন মাদক ব্যবসায়ীরা জেলে গেলে নতুন মাদক ব্যবসায়ীরা শিকড়ের মতো গর্জে উঠে। এলাকার অনেক প্রবীন ব্যক্তি সাংবাদ প্রকাশ না করার জন্যও অনুরোধ করে থাকেন।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বাংলা মদের ডিপো হচ্ছে আধুনগরের বিপ্লব বড়ুয়া। বিভিন্ন কৌশলে এলাকায় মাদক বিক্রি করে থাকে। পুলিশের হাতে কয়েকবার হাতে নাতে ধরা পড়লেও আদালত থেকে জামিনে এসে আবারো ব্যবসা চালিয়ে যান। তার সিন্ডিকেটে বাংলা মদের ব্যবসা পরিচালিত হয় আধুনগরে। স্থানীয়রা আরো জনান, স্থানয়ী চেীকিদারের সহায়তায় কয়েকবার পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পায় তারা। আধুনগর এলাকা যেন মাদকের হাট। আধুনগর বাজার পাল পাড়া রোডে প্রকাশ্যে বাংলা চোলাই মদ বিক্রি করছে আধুনগর পাল পাড়ার বিপ্লব পাল, গর্জনিয়া পাড়ার মোহাম্মদ হাসান, পাল পাড়ার প্রফুল্ল পালের পুত্র সম্ভু পাল ও ওই এলাকার দিলীপ পাল।
সুত্র জানা যায়, আজিজনগর মদের ডিপো নামে খ্যাত মগপাড়া থেকে কয়েকজন বোরকাওয়ালা মহিলা আধুনগরের মাদক ব্যবসায়ীদের বাংলামদ বিক্রির জন্য সরবরাহ দিয়ে থাকে। যার কারণে এলাকায় দিন দিন মাদক সেবকের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে অপরাধ প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আধুনগর পাল পাড়া রোডে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবকদের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়। ইতোমধ্যে লোহাগাড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবকদের আটক করলেও থামেনি বাংলা মদের জমজমাট ব্যবসা।
আধুনগর ইউপি সদস্য শিবু পাল বলেন, কয়েকবার মাদক ব্যবসায়ী ও সেবকদের ধরে পুলিশে দিলেও মাদক ব্যবসা থেমে নাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, আধুনগর বাজারের মাছ বাজার সড়ক, মিয়া পাড়া সড়ক ও সাতগড় শাহ আতাউলাহ সড়ক, চেদিরপুনি বড়ুয়া পাড়া সহ বিভিন্ন স্পটে প্রভাবশালী মহলের ছত্র ছায়ায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হচ্ছে বলে জানান।
আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদেও দুই দুই বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া বলেন, আধুনগরের মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে অনেক সময় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করেছি এবং অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে তাদের মাদক ব্যবসা বন্ধ করার কথা বললে তারা ক্ষেপে ওঠে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল। অন্যতায় তা বন্ধ করা যাবে না।
লোহাগাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান পিপিএম বার বলেন, মাদক ব্যবাসার সাথে যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আদালত থেকে জামিনে এসে পুনরায মাদক ব্যবসায়ে জড়িত হলে আবারো তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। মাদকের ব্যাপারে লোহাগাড়া থানা পুলিশ জিরো টলারেন্স।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।