প্রেস বিজ্ঞপ্তি
একদিকে আন্তর্জাতিক আধিপত্য বাদীদের শকুনি দৃষ্টি অপর দিকে আভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা জনিত কারণে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিয়ে দেশের জনগণ আজ যেন শাঁখের করাত পরিস্থিতিতে আছে। নিখিল ভারত মুসলিম লীগের ১১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ১০.০০ঘটিকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক এম.পি এডভোকেট বদরুদ্দোজা আহমেদ সুজা এবং প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, প্রশ্নবিদ্ধ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশে গণতন্ত্র ছদ্মবেশ ধারণ করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরো জাতি একটি গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছে অথচ ক্ষমতাসীন দল এরকম নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে চরম অনাগ্রহী। এমনকি সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এ বিষয়ে আলোচনা করতেও ইচ্ছুক নয় বলে প্রতিনিয়ত মন্তব্য করে চলেছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা ও সংঘাত অনিবার্য যা ঘটলে পুরো জাতিকে এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।
অপরদিকে আধিপত্য ও আগ্রাসন বাদী আন্তর্জাতিক লুটেরা সম্প্রদায়ের শকুনি দৃষ্টি এখন মুসলমান অধ্যুষিত দেশ সমূহের ভূমি ও সম্পদের উপর। গোটা মধ্যপ্রাচ্যে আরব বসন্তের নামে পরিকল্পিত রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি, জেরুসালেম কে অবৈধ রাষ্ট্র ইজরায়েলের রাজধানী ঘোষণা, জঙ্গি হিসাবে মুসলমানদেরকে ঢালাও ভাবে উপস্থাপন আগ্রাসন বাদীদের বৃহত্তর ছকের অংশ। ৯০শতাংশেরও বেশী মুসলমান অধ্যুষিত আমাদের প্রিয় বাংলাদেশও আধিপত্য বাদীদের শকুনি দৃষ্টির আওতামুক্ত নয়। সম্প্রতি মিয়ানমার কর্তৃক প্রায় দশ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমানকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠিয়ে শরণার্থী পরিস্থিতি সৃষ্টির রেশ না কাটতেই আসামের বাংলা ভাষী মুসলমানদেরও একই পথে পাঠানোর ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র রুখতে ব্যর্থ হলে আমাদের উপর ঘোর দুর্যোগ অবশ্যম্ভাবী।
এই অসম শক্তিধর আন্তর্জাতিক আধিপত্য বাদীদের রুখতে হলে একটি জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই আর একটি অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ নির্বাচনই পারে এ ধরনের জাতীয় ঐক্যমত্য তৈরিতে ভূমিকা রাখতে। উপমহাদেশ বিভক্ত করে মুসলমানদের স্বতন্ত্র আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার সুদূর প্রসারী রাজনৈতিক প্রজ্ঞার মহানায়ক আধুনিক ঢাকা গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন জাতীয় ঐক্য তৈরিতে নওয়াব সলিমুল্লাহ প্রদর্শিত পথ মুসলিম জাতিসত্তার পুনঃজাগরনই একমাত্র সমাধান। সভায় নন এম.পিও ভুক্ত শিক্ষকদের নায্য দাবী মেনে নেয়ার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানিয়ে শিক্ষকদের কর্মসূচীর প্রতি নৈতিক সমর্থন জানানো হয়।
অধ্যাপক ডাঃ এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন,জাতির প্রয়োজনে নবাব সলিমু্ল্লাহ কর্তৃক মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা ছিল একটি সময়োচিত সঠিক পদক্ষেপ। দেশে এখন যা চলছে তা আর যাই হোক গণতন্ত্র নয়। মানুষ গুম হওয়ার ভয়ে আজ ভীত-সন্ত্রস্থ-শংকিত। দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে জাতি লজ্জিত। অনির্বাচিতরা দেশ চালাচ্ছে আবার তারা সংবিধানও সংশোধন করেছে। নির্বাচন কমিশন যদি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে থাকে তাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। নির্বাচন কমিশনকে বিচার বিভাগের মত স্বাধীন করতে হবে।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ডঃ আব্দুল লতিফ মাসুম, জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী,সলিমুল্লাহ মেমোরিয়াল একাডেমীর সভাপতি সৈয়দ নাসরুল আহসান প্রমুখ। দলীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,দলের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের,নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার,প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, আকবর হোসেন পাঠান, মোঃ কুদরতউল্ল্যাহ প্রমুখ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।