মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি।
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে পাহাড় কেটে সাবাড় ও গাড়ি জব্দ করার ঘটনায় বন বিভাগ মামলা করলেও এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। এই নিয়ে এলাকার পরিবেশবাদী মহলের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। পাহাড় কাটায় জড়িতরা এলাকার চিহ্নিত হলেও প্রভাবশালী হওয়ায় ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সাম্প্রতিক সময়ে রামুর কচ্ছপিয়ায় বাঁখখালী রেঞ্জের ঘিলাতলী বন বিটের আওতাধিন এলাকায় বন বিভাগের একটি বড় পাহাড় কেটে মাটি পাচার শুরু করে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট। নির্বিচারে পাহাড়টি কাটার ফলে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হলেও বন বিভাগ শুরু থেকে নিরব ছিলো।
পরে এলাকাবাসী এ নিয়ে সোচ্চার হয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৬ ডিসেম্বর রামুর বাঁঘখালী রেঞ্জের আওতাধিন ঘিলাতলী বন বিট এলাকায় কচ্ছপিয় গ্রামে দূর্গম এ পাহড়ে অভিযান চালিয়ে একটি মাঠি ভর্তি ট্রাপিটেক্টার গাড়ি (পাওয়ার টিলার) জব্দ করতে সক্ষম হলেও পাহাড় কাটায় জড়িততরা পালিয়ে যায় বলে জনান বিট কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও বাঁঘখালী রেঞ্জে কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহী । ঘটনাস্থল থেকে মাটি পাচারে ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করে এর পরের দিন সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হলেও জড়িতরা এখনো ধারা ছোঁয়ার বাইরে।
জানা গেছে, উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রামের মৃত মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে তাজুল ইসলাম তার দখলিয় পাহাড় থেকে দীর্ঘদিন ওই এলাকার বন বিভাগের পাহাড় কেটে বিভিন্ন স্থানে মাটি পাচার করে আসছিলো। ২৬ ডিসেম্বর বারেকের নির্মিত বাড়ীর বসত ভিটা ভরাট করা খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে পাচারের গাড়ি জব্দ করেন। বন বিভাগের রহস্যজনক নীরবতায় জড়িত বারেক ও তাজুল ইসলাম ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এ নিয়ে জনমনে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
বাঁঘখালী রেঞ্জের বন কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহী ও ঘিলাতলী বিট কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়েছে। তবে মামলায় নির্দিষ্ট কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। তিনি আরো জানান, পাহাড় কাটার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে মামলার আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে আতা এলাহী জানান, বিভাগীয় পর্যায়ে এই মামলা নিস্পত্তি করার সুযোগ আছে। আর মোটা অংকের জরিমানা করে জব্দকৃত গাড়িটি জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে।