মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি।
কর্মসংস্হান কর্মসূচী (ইজিপিপি) এর আওতায় অতিদরিদ্রের জন্য সরকার ৪০ দিনের কর্মসূচীর প্রকল্প গ্রহন করেন, যা সারা বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে এ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কাজ করে সফল হলেও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে অনিয়মের কারণে নষ্ট হচ্ছে বর্তমান এ সরকারের ভাবমূর্তি। পাশাপাশি এই কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার অতিদরিদ্র মানুষও। সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে ৪০ দিনের এই কর্মসূচীর কাজ শুরু হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১ থেকে ৯ ওয়ার্ডের অতিদরিদ্র ২২৪ জন লোক নিয়োগ করা হলেও কাজ করে মাত্র ১৪০ অথবা সর্বোচ্চ ১৫০ জন। এর মাঝে আবার কোন কোন দিন মোটেও কাজ করেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতা এই প্রতিবেদককে জানান, রামু উপজেলার কচ্ছপিয়াতে দূর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধিদের পকেট ভারী করতে চলছে এসব অনিয়ম। তিনি আরো জানান, দেড় শত জনের মত মানুষ কাজ করে তিন সপ্তাহ কাজের টাকা না পেয়ে কেউ ধার করে সংসারের ভরণপোষণ চালাছে, আবার কেউ অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করছে। এসব বিষয় নিয়ে কর্মসূচীর কাজের এক মাঝির সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন যত দেরিতে টাকা ওঠায় তত মেম্বার চেয়ারম্যনদের লাভ। কারণ শুনেছি একবার টাকা ওঠালে অনেক অফিসারকে ভাগ দিতে হয় তাই ৪০ দিনে দুইবার ওঠালে তাদের লাভ বেশি হয়। এ জন্য খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কষ্ট পাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে এ প্রতিবেদক সরেজমিনে গেলে এসব অনিয়মের খবরে অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়। ২ ওয়ার্ড মেম্বার জয়নাল আবদীনের ০১৪১৫১৫৬৪১৫ নং মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন বৃষ্টিপাতের আশংকায় লোকজন মঙ্গলবারে কাজে আসেনি, তবে মঙ্গলবারের কাজ বৃহস্পতিবার করে দিবেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান। এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি (ট্যাক) অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম থেকে জানতে চাইলে তিনি গত মঙ্গলবার কাজ না করার কথা স্বীকার করে বলেন বুধবার প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখতে পায় ১নং ওয়ার্ডে ১৩, দুই নম্বরে ১৮, তিন নম্বারে ২০, চার নম্বরে ১৬, পাঁচ নম্বরে ২৬, ৬ নম্বরে ১১, সাত নম্বরে ১৪, আট নম্বরে ১৮ ও নয় নম্বরে ১১ জনসহ মোট ১৪৭ জন লোক কাজ করেন। গত ২৮ ডিসেম্বর কচ্ছপিয় ১ নং ওয়ার্ডে মাত্র দুইটি স্থানে ৮ জন লোক কাজ করার ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইসমাঈল মোঃ নোমানকে মোবাইলে তোলা ছবি দেখানো হলে তিনি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বারের কাছে মোবাইলে খবর নেন। স্থানীয়রা দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।