শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :
চকরিয়ার খুটাখালীতে পক্ষকাল ব্যাপী সামাজিক বনায়ন উজাড় করে পাহাড় থেকে মাটি বিক্রি ও পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বনবিভাগ মামলা দায়ের করলেও তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত মাটি পাচার করে যাচ্ছে বনখেকোরা। জানা যায়, ইউনিয়নের পূর্ব নয়াপাড়ার হাজী ছাবের আহমদের পুত্র বহু অপকর্মের হোতা পুলিশের উপর গুলিবর্ষনকারী জসিম উদ্দীন নামের এক যুবক পূর্ব নয়াপাড়া থেকে ফুলছড়ি রেঞ্জের অধীনে সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তন করে কয়েকদিন ধরে মাটি পাচার করে আসছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিগত ১৮ ডিসেম্বর ফুলছড়ি বিট কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মাটি কাটা ও পাচার বন্ধ করে দিয়ে জড়িত জসিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরে মামলা দায়ের করেন। এসময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত জসিম উদ্দীন পালিয়ে যায়। মাটি কাটা ও পাচারের একটি ছবি ৩ জানুয়ারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলে পুনরায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফুলছড়ি বিট কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। এসময় জসিমকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে উক্ত জসিম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তন, পাহাড় কাটা, পুলিশের উপর গুলিবর্ষণসহ বহু অপকর্ম করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে চকরিয়াসহ বিভিন্ন থানায় মামলাও রয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী। বিট কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে মামলা দায়ের করলেও এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান ফুলছড়ির ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক। অভিযোগ উঠেছে উক্ত রেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশ করে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিদস্যু, বনখোকোরা খুটাখালী, নাপিতখালীর অধিকাংশ রিজার্ভ জায়গা দখল করে আসছে। এলাকাবাসী উক্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাকের অপসারণ দাবী করেন। অভিযোগ উঠা জসিম উদ্দীনের সাথে একাধিক মাধ্যমে যোগযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।