ফরিদুল আলম দেওয়ান, মহেশখালী:
মহেশখালীর হাটে বাজারে রাস্তার ধারে জন চলাচলের স্থানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ থেকে ছড়ানো দূর্গন্ধে রাস্তায় হাটা চলা এখন রীতিমত দুস্কর হয়ে পড়েছে। অপর দিকে গেল বর্ষায় পাহাড়ী ঢলে প্রধান সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে বেশ কটি ব্রীজ কার্লভাট ঝুকীপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব ব্রীজের উপর দিয়ে চরম ঝুকী নিয়ে চলছে যানবাহন। গত ২ /৩ দিনের হালকা গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে উপজেলার প্রায় সব হাট বাজারে জমে থাকা ময়লার ভাঘাড় গুলো পঁচে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এছাড়া চলাচলের রাস্তায় কাঁদা পায়ে হয়ে হাঁটা দুস্কর হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রশাসনের যেন কোন দায় দায়িত্ব নেই। ফলে জন দূর্ভোগ বাড়ছে দিন দিন।
বড়মহেশখালী ইউনিয়নের নতুন বাজারের চাউল ব্যবসায়ি আব্দুর রহিম জানান, নতুন বাজারের প্রধান সড়কে মসজিদের সামনে ময়লা আবর্জনার বিশাল ভাগাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এর উপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েকটি স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা হেঁটে যাতায়ত করতে হচ্ছে। তা ছাড়া বাজারের ব্যবসায়িরা ময়লা আবর্জনার গন্ধ সহ্য করে বাজারে বসে ব্যবসা করতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ এ বড় মহেশখালীর কৃতি সন্তানেরা জেলা পর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলে এমনকি জাতীয় সংসদেও প্রতিনিধিত্ব করছে। তারা নিজ এলাকার এমন দূর্দশার কোন খোঁজ খবর নিচ্ছেনা। স্থানীয় প্রশাসনও দেখেও না দেখার ভান করে রয়েছে।
অপর দিকে মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের টাইম বাজারে পুরো বাজারের প্রায় অাধা কি: মি: জুড়ে রাস্তায় কাঁদা ও গর্তে পানি জমে থাকার কারণে পথচারী ও স্কুল কলেজ গামী ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াতে সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছে। এ বাজারে রাস্তার দুপাশের দোকান গুলো সামনের অংশ বৃদ্ধি করে ফুটপাত দখল করে রাস্তার উপর উঠে এসে ব্যবসা করলেও এদের বাঁধা নিষেধ করার জন্য যেন কেউ নেই। রাস্তায় গাড়ী চলাচলের সময় স্কুল গামী ছাত্রীদের প্রকাশ্য বাজারের দোকানের সামনে ঠাই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এব্যাপারে স্থানীয় ভূক্তভোগীরা প্রশাসনের দৃষ্টি অাকর্ষণ করে জানান, নাগরিক ভোগান্তির এ বিষয়ে প্রশাসন একটু নজর দিলে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ও পথচারি দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে এমনই আশা করেন সচেতন মহল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।