ধর্ম ডেস্ক:
মানুষ জিহ্বা দ্বারা কথা-বার্তা বলে থাকে। জিহ্বার ব্যবহার ছাড়া কোনো মানুষই কথা বলতে পারেন না। এ কারণে জিহ্বার অপর নাম জবান। যে জবানি থেকে মানুষের কথা প্রকাশ পায়। হাদিসে পাকে জিহ্বার হেফাজতের ব্যাপারে প্রিয়নবি অনেক উপদেশ প্রদান করেছেন।
জিহ্বার হেফাজতে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষিত মানুষের নেয়ামত লাভের কিছু বিবরণ তুলে ধরা হলো-
>> হজরত হিশাম বিন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গোলামকে থাপ্পড় মারে; তার এ কাজের কাফফারা হলো গোলামটিকে আজাদ করে দেয়া। আর যে ব্যক্তি (শরিয়ত পরিপন্থী কথা-বার্তা থেকে) নিজের জিহ্বা হেফাজত করবে; তাকে (জাহান্নামের) আজাব হতে মুক্তি দেয়া হবে। যে আল্লাহর কাছে নিজের ওজর পেশ করবে; তা কবুল করা হবে।
মুমিনের উচিত হলো- সে যেন প্রতিবেশি ও মেহমানকে সম্মান করে, কথা বললে ভালো কথা বলে অন্যথায় চুপ থাকে।
>> হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ৪টি গুণ শুধু মুমিনের মধ্যে পাওয়া যায়। আর তা হলো- চুপ থাকা, বিনয়ী হওয়া, আল্লাহর জিকির করা, অনিষ্ট কাজের স্বল্পতা।’
উল্লেখিত হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, অন্যায় ও ফাহেশা কথা-বার্তা থেকে নিজের জবানের হেফাজত করতে পারা মহান আল্লাহ তাআলার একান্ত অনুগ্রহ।
যারা জবানের/জিহ্বার যথাযথ হেফাজত করতে পারবে প্রথমত তারা মুমিন হিসেবে পরিগণিত হবে। দ্বিতীয়ত দুনিয়ার যাবতীয় অনিষ্টতা থেকে মুক্ত থাকবে। আর পরকালে থাকবে সীমাহীন সফলতা।
হাদিসের বর্ণনায়, ‘প্রকৃত মুসলমান সেই ব্যক্তি; যার হাত ও জিহ্বা থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ।’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার যাবতীয় বিষয়াদি থেকে নিজেদের জিহ্বা বা জবানের যথাযথ হেফাজত করার তাওফিক দান করুন।
জিকির-আজকার, সত্য কথা ও উত্তম বাক্য বিনিময়ের মাধ্যমে জিহ্বার যথাযথ হক আদায় করার তাওফিক দান করুন।
আর যদি তা অসম্ভব হয় তবে অযথা কথা না বলে নিরবে জিকির আজকারে নিয়োজিত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।