মো. নুরুল করিম আরমান, লামা:
‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ‘ এ শ্লোগানকে মূল প্রতিপাদ্য করে সারা দেশের ন্যায় বান্দরবানের লামা উপজেলায়ও স্কুল ও মাদরাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীর হতে তুলে দেয়া হয়েছে নতুন বই। একযোগে উপজেলার ১০১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৯টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভোকেশনাল, মাদরাসার ইবতেদায়ী এবং দাখিল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে এসব বই বিতরণ করা হয়। এবারে উপজেলার ৩৬ হাজার ৫৯৪ জন কোমলমতি শিক্ষার্থী পেল নতুন বই। বছরের শুরুর দিনে নতুন বই হাতে পেয়ে উৎসবে মেতে উঠেছে উপজেলার সব কটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত ৯ বছর ধরে প্রতিবারই ১ জানুয়ারি নতুন বই শিশুদের হাতে তুলে দেয়া হয়। দিনটি বই উৎসব হিসেবে পালন করে আসছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ উপলক্ষে সোমবার দুপুরে হলিচাইল্ড পাবলিক স্কুল মিলনায়তনে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. তানফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এক বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু। পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বই বিতরণ উদ্বোধন করেন। এ সময় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ কুমার মহাজন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, নবীর উদ্দিন, মাইকেল আইচ, ফারুক আহমেদ, আবু তাহের রানা, স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাপ্পি দাশ, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি বিপ্লব দাশ, ছাত্রলীগ নেতা মো. আনোয়ার হোসেন সোহেল, সৌরভ প্রমুখ বিশেষ অতিথি ছিলেন। এর আগে ও পরে নির্বাহী অফিসার ও পৌর মেয়র পৌর এলাকার ১১টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত বিদ্যালয়গুলোতে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ উদ্বোধন করেন।
হলিচাইল্ড পাবলকি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাপ্পি দাশ জানান, বিতরণ উৎসবের প্রথম দিনেই বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়া হয়েছে। একই কথা জানালেন- নুনারবিল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদ ছরোয়ার, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এএম ইমতিয়াজ। এ বিষয়ে মাধ্যমিক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার যতীন্দ্র মোহন মন্ডল বলেন, উপজেলায় মোট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০২টি। এতে বইয়ের চাহিদা ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ২৩৫টি। ইতিমধ্যে সবই কটি বই বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছে দেয়া হয়। এদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলায় মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার সংখ্যা ২৯টি। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় সাড়ে নয় হাজার জন। এসব শিক্ষার্থীদের জন্য ২ লাখ বইয়ের চাহিদা ছিল। এর মধ্যে ১ লাখ ৯০ হাজার বই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে দেয়া হয়েছে। বাকি ১০ হাজার বই এখনো হাতে আসেনি। আশা করি বাকি বইগুলো হাতে পেলে কয়েক দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পৌঁছে দিতে পারবো।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।