সালাম কাকলী :
মহেশখালী উপজেলা ধলঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণী ছাত্রী ফজিলাতুন্নেছা (১৪) অপহরনের ঘটনা ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এঘটনায় উক্ত ছাত্রীর পিতা দেরাবত উল্লাহ বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ অপহরনের ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ ডিসেম্বর রাত ৮টায়।
ধলঘাটা ইউনিয়নের প-িতডেইল গ্রামের বাসিন্দা দেরাবত উল্লাহর কন্যা ধলঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। উক্ত ছাত্রীকে প্রায় সময় পথে ঘাটে বিভিন্ন প্রেমের নিবেদন করত একই গ্রামের রমজান আলীর পুত্র আশেক (শরাফত উল্লাহ)। এতে উক্ত ছাত্রীর তার কথায় সাড়া না দেয়ায় গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে আশেক অপরাপর ৭/৮ জনের একটি সন্ত্রাসী দল নিয়ে অস্ত্র সস্ত্র সজ্জিত হয়ে দরাবত উল্লাহর বাড়ী দরজা ভেঙ্গে ঐ ছাত্রীকে অস্ত্রের মূখে অপহরন করে নিয়ে যায়। এই সময় বাড়ীতে থাকা সাত ভরি স্বর্ণ ও নগদ আড়াই লাখ টাকা সহ লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় পর দিন দেরাবত উল্লাহ বাদী হয়ে আট জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃত ঐ ছাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এদিকে আশেকের পিতা ধলঘাটা ইউনিয়নের মৎস্য জীবিলীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক থাকায় এক পর্যায়ে দুইজনই অজনার উদ্দেশ্য পাড়ি জমান। তিনি আরো জানান উক্ত বাড়ীতে কোন ধরনের ডাকাতী ও লুটতরাজ হয়নি। এদিকে উক্ত স্কুলের শিক্ষক নজরুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করে বলেন, ফজিলাতুন্নেছা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র তবে এবার জে.এস.সি. পরীক্ষা দেয়নি। তবে দুইজনেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।