মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজাদ, ঈদগাঁও:
উন্মুক্ত স্থান ও জনবসতি এলাকায় শুটকি ও নাপ্পি শুকানোর উৎকট দূর্গন্ধের শিকার হচ্ছে কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকায় বসবাসরত জনসাধারন। এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে পড়েছে ওই এলাকায় বসবাসকারীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলা উপকূলীয় চৌফলদন্ডীর পশ্চিমে চৌফলদন্ডী-পোকখালী চ্যানেলের বেড়ী বাঁধের দু’পাশে বিভিন্ন প্রজাতীর ছোট-বড় মাছ নদী থেকে তুলে স্থানীয়রা প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল না মিশিয়ে দিনের পর দিন বেড়িবাঁধের উপর বেপরোয়া ভাবে মাছ ও নাপ্পি শুকানোর কারণে বিকট দূর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। মাইলের পর মাইল এভাবে মাছ শুকানোর কারণে সড়ক দিয়ে হেটে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে সাধারণ পথচারী সহ উক্ত এলাকার বাসিন্দাদের। অনেক সময় দেখা যায় ভিন্ন এলাকা থেকে বেড়াতে আসা মানুষ গুলো উক্ত সড়ক দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় দূর্গন্ধ সহ্য করতে না পেরে শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে সাথে সাথে বমি করে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। এছাড়া ডায়রিয়া, আমাশয়েরসহ বিভিন্ন রোগের শিকার হচ্ছে বেড়াতে আসা মানুষ সহ স্থানীয় জনসাধারণ। এর পরও টনক নড়ছেনা মাছ ও নাপ্পি ব্যবসায়ীদের। তবে দূর্গন্ধ এড়াতে প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল মিশিয়ে মাছ শুকানো প্রায়োজন বলে দাবী করেন সাধারণ মানুষ। অন্যথায় পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় চৌফলদন্ডী-খুরুস্কুল সংলগ্ন দৃষ্টিনন্দন উপকুলীয় এলাকা এ উৎকট দূর্গন্ধের কারণে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হবে। এতে ডিজিটাল রূপে নির্মিত ব্রীজ ও সাগর পথে আসা মনোরম ও সুন্দর পরিবেশের এ সড়ক দিয়ে যান ও জন চলাচল বিঘিœত হবে। ফলে চৌফলদন্ডী উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে অনেক দূরে ছিটকে পড়বে। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
নাপ্পির উৎকট দূর্গন্ধে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।