এডভোকেট এ.কে.এম. এরশাদ উল্লাহ (মিল্টন)॥

মো: আকতার হোছাইন কুতুবী বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় সাংবাদিক, লেখক, তরুণ কথাসাহিত্যিক, রোমান্টিক চিন্তক বেশ স্বাধীনচেতা একজন তরুণ। নানাবিধ লেখালেখির মধ্য দিয়ে সময় কাটান তিনি। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বিশ্লেষকধর্মী ফিচার লেখে ও জনসভা, সেমিনার, টকশোতে যুক্তি ও তথ্য নির্ভর আলোচনা করে সুবক্তা হিসেবে মানুষের হৃদয়ে জায়গাও করে নিয়েছেন অনেকখানি। জাতীয় বাংলা/ইংরেজি পত্রিকার সহ-সম্পাদক ও জাতীয় ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক এবং উপদেষ্টা সম্পাদকের স্বীয় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন নিরবে-নিভৃতে অনেকদিন ধরে। নিজেকে জাহির করতে একদম পছন্দ করেন না। টগবগে যুবক গান, কবিতা, বিখ্যাত লেখকদের উপন্যাস খুবই পছন্দ করেন। মেধাবী ও দক্ষ কর্মবীর কক্সবাজারের সন্তান যার সুন্দর ব্যবহারে যে কোন মানুষ মুগ্ধ হয়। বিখ্যাত দার্শনিক, গবেষক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার কুতুবীকে আদর করে ‘সমুদ্র সন্তান’ বলে ডাকেন। সততা ও ন্যায়ের প্রতি অবিচল আকতার কুতুবী কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম মো: আব্দুল কুদ্দুস কুতুবী ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, অত্যন্ত শান্তশিষ্ট গুণী একজন মানুষ। ধর্মীয় রীতিনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে অবসর সময়ে মহামনীষীদের বিখ্যাত উপন্যাস ও সমাজসেবায় নিজেকে অত্মনিয়োগ করে রাখতেন। তার মাও একজন পরহেজগার নারী। শিশুকাল থেকে আকতার কুতুবী লেখালেখি, খেলাধুলা, গান, কবিতা আবৃত্তি, বক্তৃতা এসব নিয়ে মেতে থাকতেন। খুব বেশি আনন্দ পান যখন বিনা স্বার্থে কারো উপকারে আসতে পারে। কোমলমনা আকতার কুতুবী ভাইবোন নয়জনের মধ্যে দ্বিতীয়।
তার তিন ভাই, একজন পবিত্র কোরআনে হাফেজ বর্তমানে কামিল মাদ্রাসায় পড়ালেখায় আছেন। তার আরেক ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। ছোট ভাইটি পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলায় সুনাম কুড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। পাঁচ বোনদের মাঝে চার বোন দাম্পত্য জীবন নিয়ে বেশ সুখেই আছেন। ছোট বোনটি অধ্যয়নরত।
ছাত্রজীবনে ছাত্রছাত্রীদের কাছে কুতুবী খুবই প্রিয় ছিল। তখনকার সময়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে দাবি আদায়ের জন্য নেতৃত্ব দিয়ে সবার মন জয় করেছেন। তখন থেকেই সুবক্তা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি ছিল তার। এশিয়া মহাদেশে বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘদিন। তৃণমূলের কর্মীরা তাকে এতো বেশি ভালবাসতেন যেটা লিখে প্রকাশ করা যাবে না। তার নির্বাচনী এলাকার জনগণ মনেপ্রাণে ভালোবাসেন রাজনৈতিক সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। (বর্তমানে পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত নোংরা রাজনীতির বিরোধী একজন) আদর্শের সৈনিক হিসেবে। ঘোর অমানীষার অন্ধকার কাটিয়ে একদিন আলো হয়ে জ্বলে উঠবে নির্যাতিত- নিপীড়িত অসহায় মানুষের কল্যাণার্থে। হবেন তাদের নিজ এলাকার জন্য ‘বাতিঘর’। বলতে গেলে শোষিত মানুষদের জন্যই জন্ম হয়েছে আকতার কুতুবী। সমাজ থেকে গাঢ় অন্ধকার দূর করে মিটিমিটি আলোতে নয় বরং উজ্জ্বল আলোতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। জীবন-জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন ধরে তার প্রতিষ্ঠিত মেসার্স দ্বীপ কনস্ট্রাকশন ব্যবসায়িকভাবে অনেক বছর সরকারি স্বীকৃতি পেয়ে সুনামের সাথে ঠিকাদারী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আগামীকাল তিনি আরেকটি বছরে পা রাখবেন। তার জন্মদিন উপলক্ষে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, পত্রিকা, ম্যাগাজিন সংগঠনসহ বন্ধু-বান্ধবরা আয়োজন করতে যাচ্ছেন ভিন্নধর্মী একটি অনুষ্ঠান। উল্লেখ্য আকতার কুতুবী জাতীয় ম্যাগাজিন জনতার কণ্ঠ ও রাষ্ট্রীয় পরপর তিনবার পুরস্কারপ্রাপ্ত ম্যাগাজিন জাতির আলো’র উপদেষ্টা সম্পাদক এবং জাতীয় দৈনিক আমার কাগজ ও দি গুডমর্নিং পত্রিকার সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। অনুষ্ঠানে প্রশাসন ও রাজনৈতিক প্রধানরা ছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক থেকে শুরু করে প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতারা উপস্থিত থেকে তাকে অভিনন্দন জানান। ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত করেন। শুভ হোক আকতার কুতুবীর জন্মদিন। আগামী দিনগুলো সুন্দরভাবে কাটুক এই প্রত্যাশায় প্রত্যাশিত।
লেখক পরিচিতি : সমুদ্র সন্তান মো: আকতার হোছাইন কুতুবীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী, লিগ্যাল এইড কক্সবাজারের প্যানেল আইনজীবী, জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরি পরিষদের সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত সাবেক সদস্য।