রিয়াজুল হাসান খোকন, (বাহারছড়া) টেকনাফ :
উখিয়া ও টেকনাফ উপকূলীয় এলাকায় হঠাৎ করে সাধারণ মানুষের কাছে বেড়েছে ডাকাত আতংক দেখা দিয়েছে। তারা এতদিন ডাকাতি প্রবণ এলাকা রাস্তা দিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নির্বিগ্নে চলাফেরা করলেও হঠাৎ করে । কিন্তু ডাকাত দল ঐ সব এলাকাতে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে দূর্র্ধষ ডাকাতি শুরু করেছে। এরই মধ্যে কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ফলে এই এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে এক ধরণের বেড়েছে ডাকাত আতংক।
জানা যায়, তার মধ্যে গত ১২ ডিসেম্বরসন্ধা সাড়ে ছয়টার সময় টেকনাফ হোয়াইক্যং ঢালার ভিতর হয় দূর্র্ধষ ডাকাতি। ভোক্তভোগীরা জানান ঐ দিন হঠাৎ একদল ডাকাত দল প্রথমে ডাকাতি করা দুইটি সি,এন,জি গাড়ি রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে রাস্তায় বাধা সৃষ্টিকরে প্রায় দেড় ঘন্টা যাবত বার থেকে পনেরটি গাড়ি ডাকাতি করে ঐ ডাকাত দল। এই সময় অনেক মানুষেরমূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণলংকার, মোবাইল, টাকা পয়সা সহ সব কিছু কেড়ে নেয় ডাকাত দল। ডাকাতির খবর পেয়ে স্থানীয় টেকনাফ বাহারছড়ার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাঞ্চন কান্তির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঢালার ভিতর ডাকাতি হওয়া স্থানে অভিযানে যায়। তখন ফাঁড়ির সামনে ডাকাত দলের থাকা গুপ্তচরের বিশেষ ফোনে হঠাৎ ডাকাত দল পাহাড়ের ভিতর পালিয়ে যায় বলে ভোক্তভোগীরা জানান। তখন থেকে এই হোয়াইক্যং ঢালার রাস্তাদিয়ে সাধারণ মানুষ চলাফেরা করতে অনেকটা ভয় পাচ্ছে। পুলিশ পাহারা ছাড়া সহজে কেউ যাচ্ছেনা এই রাস্তাদিয়ে।
অন্যদিকে তার কিছু দিনপর টেকনাফ কক্সবাজার মহাসড়কে রাস্তায় নারকেল গাছের গুঁড়ি ফেলে একদলডাকাত হ্নীলা নামক স্থানে দূর্র্ধষ ডাকাতি করে, এই সময় ডাকাতদল পর্যটকবাহী বাস সহ দশ থেকে পনেরটি গাড়িডাকাতি করেছে। এসময় ডাকাতের খপ্পরে পড়া পর্যটক সহ স্থানীয় যাত্রীদের সর্বস্ব লুট করে নেয় ডাকাতদল। তখন বিক্ষুদ্ধ জনতা ও মটর শ্রমকিরা প্রায় তিন ঘন্টা এই ডাকাতির প্রতিবাদে মহসড়ক অবরোধ করে রাখে। তারপরঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ডাকাতদের গ্রেফতার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে শান্ত করে।
সাধারণ মানুষ জানান, সারা বছর এই এলাকা দিয়ে নির্বিগ্নে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করলেও হঠাৎ এই দূর্র্ধষ ডাকাতির কারনে রীতিমত আতংকেসাধারণ মানুষ। এর কারণ হিসেবে উপকূলীয় সচেতন মহল মনে করেন উখিয়া টেকনাফে হঠাৎ জনসংখ্যার চাপ, এবং স্থানীয় নাম করা কয়েকজন ডাকাত দলের সর্দার জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে, মুলত তাদের নেতৃত্বেবিভিন্ন জায়গা থেকে ডাকাত দলের সদস্য সংগ্রহ করে তারা নতুন ভাবে ডাকাতি করে যাচ্ছে। তার জন্যপ্রশাসনকে অবশ্যই তৎপর হতে হবে, ডাকাতরা নিরাপত্তার জন্য ফোনের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগকরে, তাই প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে এসব ডাকাতদের ধরা অনেকটা সম্ভব বলে মনে করেন সচেতন মহল। এইব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দীন খান বলেন, টেকনাফে কয়েকটি জায়গায় যেডাকাতির ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। আর এই ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করি আমরা শ্রীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।