মোঃ আবদুর রশিদ নাইক্ষ্যংছড়ি:
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়ানের কচ্ছপিয়া এলাকায় চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এ ভাবে পাহাড় কাটার খবরে গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধায় বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার দায়ে মাঠি ভর্তি এক ডাম্পার গাড়ী জব্দ করে। উক্ত জব্দ কৃত ডাম্পার গাড়িটি ছাড়িয়ে নিতে মোটা অংকের টাকায় মিশনে নেমছে প্রভাবশালী একটি চক্র।
২৭ ডিসেম্বর বেলা ১০টায় স্থানীয় সাংবাদিকরা পরিদর্শনে গেলে, গিলাতলি বিট কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও বন প্রহরী লোকমানসহ কয়েক জন মিলে গাড়িটি পাহারা দিতে দেখা গেছে। আর পাশে কয়েক জন দালাল প্রকৃতির লোক গাড়িটি ছাড়তে দর কষাকষি করাতে দেখা গেছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার ২৬ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টায় রামুর বাঘখালী আওতাধিন স্থানীয় মোজাফরের ছেলে তাজুল ইসলামের জায়গা খ্যাত, সরকারী পাহাড়ে প্রতি দিনের ন্যায় ওই দিনও একই এলেকার আবদুল হাকিমের ছেলে মোঃ বারেকের বসত ভিটা ভরাট করার জন্য ভাড়া কৃত ডাম্পার গাড়িটি ১০/১৫ জন শ্রমিক নিয়ে পাহাড় কাটতে যায়। এতে বন বিভাগে খবর হলে বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্কা একেএম আতা এলাহী সহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে মাঠি ভর্তি গাড়িটি আটক করতে সক্ষম হলেও পাহাড় কাটার কাজে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।
স্থানীয়রা জানান, , ওই এলেকার কতিপয় চিহ্নিত একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে ওই সব সরকারী পাহাড়ের মাটি বিভিন্ন জনের কাছে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে। বিট কর্মকর্তা রফিকুল সলাম জানান, ডাম্পার টির মালিক তিতার পাড়ার মোঃ নুরের ছেলে ওসমান। তিনি আরো জানান, জব্দ কৃত গাড়িটির ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এই ব্যাপরে রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহীর বলেন সরকারী পাহাড় কাটার বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। জড়িতদের বিরুদ্ধদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।