মো. মনজুর আলম, চকরিয়া:
জাতীয় সংসদের (২৯৪) কক্সবাজার-১ আসনটি চকরিয়া-পেকুয়া দুই উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। দুই উপজেলার বর্তমান ভোটার সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। বিএনপির শক্তঘাঁটি হিসাবে পরিচিত এই আসন থেকে ১৯৯১ সালে জামায়াত প্রার্থী এনামুল হক মঞ্জু ও ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী বর্তমান বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ পরপর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে সালাহউদ্দিন আহমদ কারাবন্দি থাকায় স্ত্রী এডভোকেট হাসিনা আহমেদ বিএনপির টিকিটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমদ সিআইপিকে ৩৫ হাজার ৪০১ ভোটে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী ও কক্সবাজার জেলা জাপার সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ।

বর্তমান সরকারের মেয়াদ এখনো একবছর বাকি রয়েছে। এরই মধ্যে সারাদেশের মতো এই আসনেও একাদশ নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে শ্রেনী-পেশার মানুষের মাঝে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কোন দল থেকে এবার কে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে সর্বমহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য সকল দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা যে যার যার মত করে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক গনসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। একই সাথে মনোনয়ন টিকিট নিশ্চিত করতে তদবীর চালাচ্ছে দলের হাইকমান্ডে। এখানে আওয়ামী লীগ থেকে একাধিকজন এবার প্রার্থী হতে মরিয়া। ফলে বিপুল পরিমাণ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে অনেকটা বেকায়দায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ।

বর্তমানে আওয়ামী লীগ থেকে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে নির্বাচনী এলাকা প্রার্থীদের পাল্টা-পাল্টি সভা-সমাবেশে সরগরম থাকলেও তৃনমুলে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জনগনের কাছে অধিক জনপ্রিয়তা অর্জন তুঙ্গে রয়েছে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলমের। দশম নির্বাচনে জাফর আলমকে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু জাতীয় পাটির সাথে মহাজোটের আসন ভাগাভাগি করার ফলে ভোট গ্রহনের দুইদিন আগে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন জাফর আলম।

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদের (বর্তমানে ভারতের শিলংয়ে অবস্থানরত) সহ-ধর্মীনি সাবেক এমপি এডভোকেট হাসিনা আহমদকে ইতোমধ্যে জেলা বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে চকরিয়া-পেকুয়া আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা দিয়েছেন। ফলে প্রার্থী নিয়ে আপাদত সুবিধাজনক অবস্থান রয়েছে বিএনপি।দলীয়ভাবেও চকরিয়া-পেকুয়ায় সুসংহত ও শক্তিশালী বিএনপি।সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে ভোটাররা।

দুই বড় দলের পাশাপাশি মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন জাতীয় পাটি (এরশাদ) দলীয় বর্তমান এমপি হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ। আওয়ামী লীগের সাথে জোটগত নির্বাচন হলে এবারও তিনি আসনটি পাবেন বলে ধারণা জাপা নেতাকর্মীদের।

অন্যদিকে মহাজোটের শরীকদল জাতীয় পাটি (মঞ্জু) জেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি এএইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদও নির্বাচন করবেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তিনি মহাজোটের শরীকদল হিসেবে মনোনয়ন পেলে শতভাগ নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রার্থী হিসেবে সালাহ উদ্দিন মাহমুদ ক্লিন ইমেজের। তার সময়কালের জেলা পরিষদের উন্নয়ন এখনো দৃষ্টান্ত। তিনি এমপি থাকাকালে যেসব উন্নয়ন করেছেন, তা এখনো যোগ্যতা-দক্ষতার স্বাক্ষর বহন করে।

চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলমের পাশাপাশি বর্তমানে চকরিয়া-পেকুয়া আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন অন্তত আরো ১১জন প্রভাবশালী নেতা।

তাঁরা হলেন- জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন সিআইপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও সুচিন্তা চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম সজিব, জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ মিথুন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জেলা পরিষদের সদস্য লায়ন কমর উদ্দিন আহামদ, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জিয়া। তাদের মধ্যে সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ সালে তিনবার আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদের সিদ্ধান্তে একক প্রার্থী হবে এই আসনে। ইতোমধ্য বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে সালাউদ্দিন আহমেদ অথবা তার সহধর্মীনি সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ এই আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় চকরিয়া-পেকুয়ায় একমাত্র হাসিনা আহমেদই প্রার্থী তালিকায় চুড়ান্ত বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় চকরিয়া-পেকুয়ার বিএনপি’র শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নেতৃত্বে দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দলটি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চকরিয়া আর পেকুয়া পৃথক উপজেলা হলেও সংসদীয় আসনে একজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দু’টি উপজেলায় রয়েছে সংগঠনের সভাপতি সম্পাদকসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি। চকরিয়া উপজেলা (মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা, চকরিয়া পৌরসভা) আওয়ামীলীগ বর্তমানে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলমের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সম্পাদক আবুল কাশেমের এর নেতৃত্বে জাফর আলমের পক্ষে রয়েছেন।

তবে পেকুয়া ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কিছু নেতাকর্মী নিয়ে অন্যপক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা আ’লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ড. মো. আশরাফুল ইসলাম সজিব, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মাহামুদ মিথুন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য কমরউদ্দিন আহামদ, বরইতলী ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আ’লীগ সদস্য জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জিয়া। তাঁরা ইতোমধ্যে দুই উপজেলায় পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছে। বিভিন্ন সভা সমাবেশে এক পক্ষ অপর পক্ষের সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে। যার কারণে চরম অস্বস্তিতে দলীয় নেতাকর্মীরা।

আ’লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, উপজেলা ভিত্তিক দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন হয়ে থাকে দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে পৃথকভাবে। রোহিঙ্গা ইস্যু ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সফর পরবর্তি কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বরণ করতে গিয়ে চকরিয়ায় পৃথকভাবে কর্মসূচি দেয় দু’টি গ্রুপ। জাফর আলমের নেতৃত্বে চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনাল ও রেজাউল করিমের নেতৃত্বে হারবাংয়ের ইনানী রিসোর্টে আয়োজিত সভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দু’টি সভায় লোক সমাগম দেখে ¯’ানীয় এলাকাবাসীরাও হতবাক হয়ে পড়েন। কিন্ত পৃথক এ কর্মসূচি কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে আগামী সংসদ নির্বাচনে। প্রার্থী যেই হউক গ্রুপিং থাকলে আবারো নৌকার পরাজয় নিশ্চিত বলে নেতাকর্মীদের অভিমত। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুযোগটি নিতে পারে জাতীয় পার্টি। গ্রুপিংকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় পার্টি আবারো মহাজোটের প্রার্থী হয়ে এ আসনটি চাইতে পারে। গত ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই সুযোগটি নিয়েছিল জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া-পেকুয়ায় তাদের কোন ধরণের গ্রুপিং নেই। চকরিয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া আর পেকুয়ায় চলছে সদর চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ্র একক নেতৃত্বে। বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের কমিটি গোছাতে ব্যস্ত তারা। কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ (বর্তমানে ভারতে মামলায় বিচারাধীন) এই আসনটি প্রার্থী নির্ধারণ করে থাকেন। মামলা জটিলতায় তিনি প্রার্থী হতে না পারলেও তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ এ আসন থেকে বিএনপি’র প্রার্থী নিশ্চিত। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সম্প্রতি খালেদা জিয়ার কক্সবাজার সফরে এসে এমন মত প্রকাশ করেছেন বলেও দলীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন। যার কারণে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনেক স্বস্তিতে রয়েছে বিএনপি।

বিএনপি প্রার্থী হাসিনা আহমদের এর প্রতিনিধি হিসাবে পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ বলেন, কেন্দ্রে থেকে যে সিন্ধান্ত আসে সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করব। তবে চুড়ান্ত প্রার্থী হিসাবে আমাদের নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ এর সিন্ধান্ত চুড়ান্ত। এখানে হাসিনা আহমেদই একমাত্র প্রার্থী। তাকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন।

চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন। আবার তার ইচ্ছায় আসনটি মহাজোটের শরীক জাতীয় পাটিকে ছেড়ে দেয়া হয়। তারপরও আমি চকরিয়া-পেকুয়ার জনগণের কাছ থেকে আজ পর্যন্ত দুরে সরে যায়নি। সরকারের উন্নয়নের সফলতা জনগনের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। দুই উপজেলার জনগনকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি, উন্নয়ন চাইলে বারেবারে দরকার, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। তিনি বলেন, চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষের ভালবাসায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য নিরলসভাবে দলীয় কর্মসুচীসহ এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম বলেন, বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনটি উদ্ধার করতে হলে অবশ্যই একজন জনবান্ধব প্রার্থীকে দলের মনোনয়ন দেবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আমি দলীয় সভানেত্রীর সিদ্বান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।

আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অপরপ্রার্থী কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম সজিব বলেন, সারাদেশে তারুণ্যের জয়জয়কার চলছে। চকরিয়া-পেকুয়ার তৃণমূলে উঠান বৈঠক, মিটিং-মিছিল করে জনগনের সামনে শেখ হাসিনার গৃহিত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো তুলে ধরছি। দেশে তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নতিতে ২৬ লাখ বেকার তরুণের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ক্ষুধামুক্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশ বির্নিমানের পথে অনেক দূর এগিয়েছে। বিশেষ করে একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্পের সুফল প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এখন মানুষ মুখিয়ে আছে, কখন একজন দক্ষ ও তারুণ্য নির্ভর মানুষ নৌকার হাল ধরবে। নেত্রী আমার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিলে দলের সকল কোন্দল মিটিয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে কাজ করে যাবো।

আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা পরিষদ সদস্য কমর উদ্দিন আহামদ বলেন, চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষের ভালবাসায় ইনশাল্লাহ আমি আসন থেকে প্রার্থী হবো। বর্তমানেও আমি জনপ্রতিনিধি হিসাবে জনগণের সেবা করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা প্রতীক উপহার দিলে একজন স্বচ্ছ প্রার্থী হিসাবে জনগনের ভোটে আমি আসনটি উদ্ধার করতে পারবো। তিনি বলেন, আমার স্বপ্ন আছে চকরিয়া-পেকুয়ায় বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নের মেগাপ্রকল্প গুলো বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিব। লবণ শিল্পে সুদিন ফেরাতে কাজ করবো। বিশেষ করে মাতামুহুরী নদীকে শাসন সংরক্ষনের আওতায় নিয়ে আসবো। যাতে কোন দখলবাজচক্র নদীর গতিপথ দখল করে জনগনের স্বার্থ বাঁধাগ্রস্থ করতে না পারে। কারণ মাতামুহুরী নদী সুরক্ষা হলে, সুরক্ষা হবে চকরিয়া-পেকুয়ার জনপদ।

মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, চকরিয়া-পেকুয়া আসনে আওয়ামীলীগের হারানো ইমেজ ও ঐতিহ্য ফেরাতে হলে ক্লিন ইমেজের প্রার্থীর বিকল্প নেই। দলের হাইকমান্ড আশাকরি বিষয়টি অনুসন্ধান করে একজন স্বচ্ছ রাজনৈতিক নেতাকে এবার প্রার্থী দেবেন। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে স্বচ্ছ ও তারুণ্য নির্ভর নেতাকে প্রার্থী দেবেন, এই ক্ষেত্রে তিনি আমাকে তাঁর বাহক হিসেবে যোগ্য মনে করেন আমি চকরিয়া-পেকুয়াবাসির কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত করবো।