শাহীন শাহ, টেকনাফ:
টেকনাফে শিশু সৈয়দ আমিনকে অপহরণের ১২ ঘন্টা পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেরত দিয়েছে চিহ্নিত অপহরণকারীরা। গুরুতর আহত শিশুটি টেকনাফ স্বাস্থ্য কম্পেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২২ ডিসেম্বর সাড়ে ৬ টায় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রাস্তার মাথা এলাকায়।
অভিযোগে জানা গেছে, স্থানীয় কাসেম আলীর ছেলে সৈয়দ আমিন (১৬) প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যা ঘুরাঘুরি করছিল। এমন সময় সিএনজি করে ৪ থেকে ৫ জনের একদল দূর্বৃত্ত জোর পূর্বক উঠিয়ে কাটাখালীর গহীণ অরণ্যে আটকে রাখে। অপহৃত শিশুটির মোবাইল নম্বর হতে পরিবারের কাছ থেকে দূর্বৃত্তরা ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। দূর্বত্তদের চিহ্নিত করতে পেরে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ীকে অবহিত করা হয়। এ সংবাদটি দূর্বত্তদের নিকট পৌঁছালে তারা শিশুটি বেধড়ক পিটিয়ে , দাহ্য পদার্থ দিয়ে মাথার চুল ছিড়ে নেয়। পরের দিন অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর ভোর ৬ টায় আহত অবস্থায় বাড়ির সম্মুখে ফেলে রেখে চলে যায় চিহ্নিত দূর্বত্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কম্পেক্সে প্রেরণ করা হয়।
আহতের ভাই কলেজ পড়–য়া নুরুল আমিন বলেন, স্থানীয় আব্দু শুক্কুরের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও তার ভাই এবং শাহ আলমের ছেলে সৈয়দ আমিনসহ আরো কয়েকজন মিলে আমার ভাইকে অপহরণ করে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। আমরা পুলিশের দ্বারস্থের খবর পেলে তারা আমার ভাইকে হামলায় আহত করে বাড়ির সামনে ফেলে যায়। পাশাপাশি তারা হুমকি ধমকিতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে মোস্তাফিজ ও সৈয়দ আমিন জানান, তাদের সব অভিযোগ মিথ্যা। সৈয়দ আমিনের কাছ থেকে পাওনা টাকা খুঁজতে গেলে তারা নাটক সাজিয়ে বিভিন্ন রকম তালবাহনা শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই রাজিব পোদ্দার জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং উভয় পক্ষকে ডাকা হবে। পাশাপাশি আইন পরিপন্থিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।