বার্তা পরিবেশক :
উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ধুরুমখালী খালের তীব্র ভাঙ্গণে গ্রামীণ সড়ক লন্ডভন্ড হয়ে বিদ্যুতের খুঁটি খালের গর্ভে চলে গেলেও কর্তৃপক্ষের কোন খবর নেই। খালের ভাঙ্গাণে ইতিমধ্যে গ্রামীণ সড়কের সাথে একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি খালের গর্ভে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েঝে। যে কোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। রামু সেনানিবাস হয়ে উখিয়ার হলদিয়াপালং ও জালিয়াপালং ইউনিয়নের উপর দিয়ে উখিয়া উপকূলীয় এলাকা মনখালী পর্যন্ত সম্প্রসারিত ১৩ হাজারেরও অধিক ভোল্টেজ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের লাইনটি ধুরুমখালী খালের পাশ দিয়ে যাওয়ার বিদ্যুতের একাধিক খুঁটি খালের পাড়ে স্থাপনের প্রায় ৩ বছরের মাথায় কয়েকটি খুঁটি সরিয়ে বিকল্প বিদ্যুৎ সম্প্রসারণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা কর্তৃপক্ষের একান্ত জরুরী বলে মনে করছেন। আরো দেখা যায়, উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎতের আওয়াতাধীন বিভিন্ন গ্রামে যাওয়া মেইন লাইনের একটি খুঁটি ইতি মধ্যে গত বর্ষায় মাটি সরে যাওয়ায়, যে কোন মূহুর্তে খালে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ,এমতাবস্থায় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। খুঁটিটি দ্রুত অন্যত্রে সরিয়ে ফেলার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংবাদকর্মী, নুরুল ইসলাম (শান্ত) উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আর্কষন করেছেন।
এদিকে হলদিয়াপালং গ্রামীণ সড়কগুলো বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় গ্রামীণ যোগাযোগ অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ জনসাধারণ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উখিয়া উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের রুমখা নতুন পাড়া, চৌধুরী পাড়া, নাপিত পাড়া, মহাজন পাড়া, শীল পাড়া প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলা-চলের রাস্তা দীর্ঘ ৩ বছর ধরে ভেঙ্গে অচল অবস্থায় হলেও দেখার জন্য ও রাস্তা মেরামতের জন্য কোন জনপ্রতিনিধি এগিয়ে আসেনি। ব্যাপক্ষ ভাঙ্গনের কারনে বেহাল অবস্থা দেখা দিয়েছে। নতুন পাড়া রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা রুমখাঁ চৌধুরী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুকি নিয়ে লেখাপড়ার জন্য যাতায়ত করছে। এদিকে এলাকা বাসীর সাথে কথা বলে যানা যায়, দীর্ঘ ৩ বছর ধরে আমাদের রাস্তাটি ভেঙ্গে গেলে কোন জন প্রতিনিধি রাস্তা মেরামতে এগিয়ে আসেনি।
উখিয়া ডিগ্রী কলেজের ছাত্র, আয়ুবুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, কক্সবাজার সিটি কলেজের ছাত্র- শফিউল করিম, রামু কলেজের ছাত্র- মিজানুর রহমান ও বঙ্গমাতা মহিলা কলেজের ছাত্রীরা, রুমখাঁ পালং আলীম মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, ছৈয়দ বকতিয়ার-চেমন বাহার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আলাপকালে সাংবাদিকদের দুঃখ করে বলেন, বর্ষা মৌসুম আসলে পানির স্রোতের কারনে আমাদের ৩ কিলোমিটার হেটে গোরামিয়া চৌধুরীর গেরেজ দিয়ে যাতায়ত করতে হয়। একারনে আমরা ঠিকভাবে লেখাপড়া করতে পারছি না। আমরা স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও উখিয়া উপজেলা প্রসাশনের প্রতি জরুরী রাস্তা মেরামতের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
এলাকাবাসীরা জানান বর্ষা আসলে আমাদের ছোট ছোট বাচ্ছাদের রাস্তা দিয়ে পানি চলাচলের কারনে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে যদি দ্রুতগতিতে রাস্তা মেরামত করা না হয় তাহলে আগামী বর্ষা মৌসুমে আমাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা,বান্দারবান জেলা প্রসাশকের কার্যালয় সহকারী প্রোগ্রামার (আইসিটি) মোহাম্মদ ছুরত আলম (আকাশ) বলেন, জনগণের স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে রাস্তা ভাঙ্গণের মেরামত করার জন্য স্থানীয় জনগপ্রতিনিধির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কক্সবাজার আন্তঃজেলা হকার সমিতির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও উখিয়া উপজেলা হকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম (শান্ত) বলেন, বিশ্বের সাথে থাল মিলিয়ে বর্তমান সরকার আমলে চোখে পড়ার মত সারা বাংলাদেশে উন্নয়ন হলেও এ এলাকা অবহেলিত বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। আর এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করছেন যে, শুধু শহরে বন্দরে উন্নয়ন হলে হবে না গ্রামগঞ্জে যেন মানুষ কষ্ট না পায় সেদিকে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের খেয়াল রাখতে হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক তার বিন্দুমাত্র কাজ হচ্ছে না অত্র এলাকায়। জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামত ও ঐ এলাকায় ঝুকি পুর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর জন্য জেলা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকার সচেতন মহল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।