সংবাদদাতা:
আদালত থেকে তদন্তের জন্য পাঠানো মামলার কোন প্রকার তদন্ত না করেই একতরফা তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন সদর সাব রেজিষ্ট্রার মাজেদা বেগম। মোটা অংকের উৎকোচে বশীভূত হয়ে একতরফা প্রতিবেদন আদালতে প্রেরন করায় নীরিহ লোকজন মিথ্যা মামলায় ফেঁসে গিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সূত্রে প্রকাশ, জমি-জমার বিরোধ নিয়ে কক্সবাজারের একটি আদালতে গত মার্চ মাসে দায়ের হওয়া একটি মামলার বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সদর সাব রেজিষ্ট্রারকে নির্দেশ দেন আদালত। তৎকালীন সাব রেজিষ্ট্রার আবদুল মালেক প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে মামলায় বর্ণিত বিষয়াদীর সত্যতা না পাওয়ায়
আদালতকে আবহিত করে আরো অধিকতর তদন্তের জন্য প্রতিবেদন অাপেক্ষমান রাখেন। এর মধ্যে গত এপ্রিল মাসে জেলা রেজিষ্ট্রার হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র বদলী হন তিনি। এরপর ভারপ্রাপ্ত একজন সাব রেজিষ্ট্রার দায়িত্ব নেন। মামলাটির পুরোপুরি সত্যতা না পাওয়ায় তিনিও প্রতিবেদন দেয়া থেকে বিরত থাকেন। গত জুন মাসে সদর সাব রেজিষ্ট্রার হিসাবে যোগদান করেন মাজেদা বেগম।
এরপর উপরোক্ত মামলা তদন্তের জন্য বর্ণিত ঘটনাস্হলে না গিয়ে তিনি বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে অফিসে তলব করেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, এরপর অফিস সহকারী সজীবের মাধ্যমে উভয় পক্ষ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ দাবী করেন। কিন্তু বিবাদী পক্ষ অনৈতিক উৎকোচ না দিয়ে বর্ণিত ঘটনাস্হলে গিয়ে মামলাটি তদন্তের জন্য লিখিত আবেদন জানালেও তা আদৌ গ্রহন না করে ফেরৎ দেয়া হয়। এরপর গত ৪ অক্টোবর একতরফা ও মনগড়া প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করেন সদর সাব রেজিষ্ট্রার মাজেদা বেগম। আর এতে বাদীপক্ষ থেকে লক্ষাধিক টাকার উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মামলায় বর্ণিত ঘটনাস্হলে গিয়ে তদন্ত না করে অনৈতিক ঘুষের বিনিময়ে এভাবে একতরফা প্রতিবেদন দেয়ায় নীরিহ লোকজন মিথ্যা মামলায় ফেঁসে গিয়েছেন।
সাব রেজিষ্ট্রার মাজেদা বেগম উপরোক্ত প্রতিবেদন দেয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও তদন্ত করে দিয়েছেন বলে দাবী করেন। কিন্তু মামলায় উল্লেখিত ঘটনাস্হলে গিয়ে তদন্ত করেছেন কিনা জানতে চাইলে কৌশলে এড়িয়ে যান ও পরক্ষনে তাঁর আফিসে গিয়ে চা খাওয়ার আমন্ত্রন জানান।