নাজিম উদ্দিন ,পেকুয়া :
পেকুয়ায় রাতে গুলাগুলি হয়েছে। গত ২১ ডিসেম্বর রাত ১১ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত প্রায় দু’ঘন্টা থেমে থেমে গুলি বর্ষন হয়েছে। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মুর্হুমুহুু গোলাগুলির বিকট শব্দে এলাকায় আতংক দেখা দেয়। যে কোন মুহুর্তে নাশকতা কিংবা সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে লোকজন ছুটাছুটি করে দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যায়। সর্বত্রে আতংক ও উদ্বেগ বিরাজ করলে মানুষজন দ্রুত পালিয়ে যায়। উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌমুহনী ও তার নিকটতম চতুরপাশের্^ গুলিবর্ষনের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, অন্তত ৩০-৪০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। পেকুয়া থানার পুলিশ গুলাগুলির বিষয়টি আঁচ করছিলেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা দ্রুত প্রস্তুতি নেন। তারা বেরিয়ে পড়েন টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করতে। যে কোন পরিস্থিতি ও নাশকতা এড়াতে পুলিশ চৌমুহনীসহ আরো কিছু স্থানে নিরাপত্তাবলয় তৈরী করে। তবে কি কারনে গুলিবর্ষন হয়েছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায় নি। পেকুয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান উত্তেজনা ও আতংক ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি গুলি বর্ষনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ওসি জানায়, বিজয় মেলার আয়োজন পন্ড করতে রাতে আতশবাজি ফুটানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়,পেকুয়ায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা চলছিল জিয়াউর রহমান কলেজ মাঠে। আয়োজক কমিটি ওই দিন রাতে সাংস্কৃতিক মঞ্চায়ন করে। তারা দর্শকদের মন মাতাতে কন্ঠশিল্পী ও নৃত্যশিল্পীদের মঞ্চে গান, নৃত্য পরিবেশন করছিলেন। দর্শকরা টিকেট নিয়ে মঞ্চে প্রবেশ করে। স্থানীয়রা জানায়, পেকুয়ায় ওই দিন রাতে বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ মাহফিল ও সিরাতুন্নবী (সা:) মাহফিল চলছিল। মেলার নিকটে হরিণাফাড়িতে ইসলামিক সম্মেলন হচ্ছিল। এ সময় বয়ান চলছিল। তবে রাতে মেলার চারদিক থেকে গুলি বর্ষন হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি পক্ষ দাবী করে বিজয় মেলায় কিছু অশ্লীল সংস্কৃতি উপস্থাপন হচ্ছে। এ নিয়ে মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে। তবে গুলিবর্ষনের বিষয়টি অস্পষ্ট থেকে গেছে। ক্লু উৎঘাটন হয়নি। রহস্য থেকে গেছে কেন গুলি বর্ষন হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।