নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের বাসটার্মিনালের পশ্চিমপাশে ইসলামাবাদ এলাকায় সরকারি জমিতে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধে অভিযান চালিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার বিকালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপ সহকারি প্রকৌশলী ইমতিয়াজুল হকের নেতৃত্বে ইসলামাবাদ এলাকায় মৃত কবির আহমদের পুত্র ছৈয়দ করিমের নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালান। তবে খবর পেয়ে ছৈয়দ করিমসহ অন্যরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, কক্সবাজার কেন্দ্রিয় বাসটার্মিনালের পশ্চিমপাশে ইসলামাবাদ এলাকায় মৃত কবির আহমদের পুত্র ছৈয়দ করিম কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ৩/৪ মাস আগে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সরকারি পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করে। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে এক ব্যক্তি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবরে অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়-যেখানে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া মানুষ এক তলা ঘরও নির্মাণ করতে পারছে না, সেখানে ছৈয়দ করিম নামের ওই ব্যক্তি সরকারি পাহাড় কেটে ৫ তলা ভবন নির্মাণ শুরু করে। ইতিমধ্যেই ভবনটি এক তলা পর্যন্ত নির্মাণ শেষ করা হয়েছে। যা এলাকায় মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপ-সহকারি প্রকৌশলী ইমতিয়াজুল হক বলেন, ‘ইসলামাবাদ এলাকায় মৃত কবির আহমদের পুত্র ছৈয়দ করিমের বিরুদ্ধে সরকারি পাহাড় কেটে অনুমতি ছাড়া বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয়। তবে যাওয়ার পর সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। ভবনটি ইতিমধ্যেই এক তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ভবনটি ব্যবহার না করার নোটিশ জারিসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমেদ বলেন, ‘অবৈধভাবে নির্মাণাধীন ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।