বিশেষ প্রতিবেদক:
পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে কক্সবাজার শহরের বাসটার্মিনালের পশ্চিমপাশে ইসলামাবাদ এলাকায় মৃত কবির আহমদের পুত্র ছৈয়দ করিম ও মৃত আমিন উল্লাহর পুত্র হাশেম এর পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মুমিনুল ইসলাম। গত কাল সোমবার বিকালে সেখানে গিয়ে আশ-পাশের বিশাল পাহাড় কাটার চিত্র দেখেন তিনি। সেখানে ছৈয়দ করিম ও হাসেম এর পাশাপাশি পাহাড় কাটছেন ইউনুছ, মৌলভী নুরুল ইসলামসহ আরও অনেকে। এর পর গত ১২ ডিসেম্বর দৈনিক সকালের কক্সবাজার পত্রিকায় ‘অপ্রতিরোধ্য পাহাড় কাটা, অভিযানে ভাটা’ শিরোনামে প্রকাশিত সচিত্র সংবাদের সূত্র ধরে বাসটার্মিনালের দক্ষিণপাশে পূর্বলারপাড়ায় যান মুমিনুল ইসলাম। সেখানে স্বচক্ষে পাহাড় কাটার ভয়াবহ চিত্র দেখেন তিনি। ওই সময় তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন এর ভাই আবদুল জলিল, আবুল কাশেম প্রকাশ কাশিম মেম্বারের পুত্র খোরশেদ আলম, মৃত মোজাফ্ফর আহমদের পুত্র চান মিয়া, মোহাম্মদ হোছনের পুত্র শামসুল আলম, রেজিয়া আক্তার রাজু, মৃত মোহাম্মদ ইদ্রিছের পুত্র ইয়াকুব সোহাগ, তপন, হেফাজ এর পাহাড় কাটা পরিদর্শন করেন। এর পর কলাতলী বাইপাস সড়কে নুর আমানুল্লাহ জামে মসজিদের পেছনে কক্সবাজার শহরের কলাতলী সৈকতপাড়ার মৃত সুলতান আহমদের পুত্র মোঃ ইদ্রিছ ও মোহাম্মদ আশরাফ আলীর পাহাড় কাটা পরিদর্শন করেন। এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মুমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের কেন্দ্রিয় কার্যালয় থেকে নির্দেশ পেয়ে, পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ এবং অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি পাহাড় কাটার ঘটনা পরিদর্শন করেছি। এসময় পাহাড় কাটার ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিদর্শনে ছৈয়দ করিম, হাসেম, ইউনুছ, মৌলভী নুরুল ইসলাম, আবদুল জলিল, সোহাগ, চান মিয়া, খোরশেদ, শামসুল, রাজু, তপন, হেফাজ, ইদ্রিছ, আশরাফসহ অনেকের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটায় জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। যারা পাহাড় কাটার মতো অপরাধে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।