আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ:

দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পেঁয়াজের চাষ করছে চাষীরা। পাশাপাশি ভূট্টা, মরিচ, বাদাম, তরমুজ ও বেগুনের চাষসহ নানা রকমের কাঁচা তরকারি ক্ষেতের চাষ করে সেন্টমার্টিনের চাহিদা অনেকাংশ মেটাচ্ছে দ্বীপের অনেক চাষী।

এছাড়া গেল মৌসুমে ধান চাষ করেও ভাল ফলন পেতে সক্ষম হয়েছে।

এদিকে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা যখন বেড়েছে তখন সেন্টমার্টিনের গলাচিপার হলবনিয়া গ্রামের চাষী নজির আহমদের পুত্র হাফেজ আহমদ (৫৫) পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছে। প্রায় ৩৩ শতক জমিতে পেঁয়াজ রূপন করে ভাল ফলনের আশা করছেন তিনি। পাশাপাশি পেঁয়াজ পাতা বিক্রি করে ইতিমধ্যে কয়েক হাজার টাকা আয় করেছে।

হাফেজ আহমদ জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিনের পেঁয়াজের ভাল ফলন হয়। পেঁয়াজের আকার অনেক ছোট কিন্তু ঝাঁঝালো। স্থানীয় বাজারে সেন্টমার্টিনের পেঁয়াজের অনেক চাহিদা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সেন্টমার্টিনে প্রায় ৯.৮৮ একর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা করেছে। এর মধ্যে গলাচিপা, উত্তর পাড়া ও দক্ষিন পাড়ায় সবচেয়ে বেশী পেঁয়াজের চাষ করা করা হয়েছে। পাশাপাশি পেঁয়াজ ও ভূট্রা প্রদর্শনীর মাধ্যমে চাষাবাদের জন্য স্থানীয়দের উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।

এছাড়া সেন্টমার্টিনে ২২২ একর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছিল। বিশেষ করে ব্রি-৩৩ ধানের জাত বেশী চাষ করেছে। এতে প্রায় ২৮৩ মেট্রিক টন ধান পেয়েছে চাষীরা।

ধান কাটার পর শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের ক্ষেত। এর মধ্যে ভূট্টা, মরিচ, বাদাম, তরমুজ ও বেগুনের চাষসহ নানা রকমের কাঁচা তরকারি ক্ষেতের চাষ করে সেন্টমার্টিনের চাহিদা অনেকাংশ মেটাচ্ছে দ্বীপের অনেক চাষী।

সুত্রে জানা গেছে, সেন্টমার্টিনে এই সময়ে পর্যটন মৌসুম হলেও দ্বীপের দক্ষিনাংশে পর্যটকের আনা গোনা নেই। ফলে ঐ এলাকার লোকজন চাষাবাদে আগ্রহী এবং ক্ষেত করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এর মধ্যে দ্বীপের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড উল্লেখযোগ্য।

টেকনাফ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ শফিউল আলম জানান, সেন্টমার্টিনের মানুষকে কৃষি নির্ভর করতে ইতিমধ্যে পেঁয়াজ ও ভূট্রার উপর প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে বীজ, সার ও আনুষাঙ্গিক মালামালসহ সঠিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে ভাল ফলনের পাশাপাশি আশপাশের লোকজনও চাষাবাদে উদ্ভুদ্ধ হয়ে উঠে। তিনি আরো জানান, সেন্টমার্টিনের মাটি চাষাবাদের জন্য খুবই উপযোগী। সঠিক পরিচর্যা করলে ভাল ফলন পাওয়া যাবে।