ডেস্ক নিউজ:
রাঙামাটিতে সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রীতিময় চাকমা, সাধারণ সম্পাদক রতন চাকমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক উৎপল চাকমাসহ ৫৮ জন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। পাহাড়ি এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পদত্যাগের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রীতিময় চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক রতন চাকমা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে তারা বাংলাদেশ রাঙামাটি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা বিবেচনা করে ইউনিয়নের সব নেতাকর্মীর সম্মতি নিয়ে আমরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকেও পদত্যাগ করেছি।
রাঙামাটি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হৃদয় বিকাশ চাকমা বলেন, ‘এখনও আমার কাছে কোনও পদত্যাগপত্র জমা হয়নি। তারা পদত্যাগ করলেও করতে পারেন, আমার জানা নেই। যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে, নিরুপায় হয়ে অনেকেই পদত্যাগ করছেন।’
উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাসেল মারমাকে হত্যা চেষ্টা, জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর ৭ ডিসেম্বর রাঙামাটি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝর্ণা খীসার ও তার পরিবারের ওপরে দুর্বৃত্তরা গভীর রাতে হামলা চালায়। এসব ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ বারবার আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে আসছে। আর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বারবার বিষয়টি অস্বীকার করে যাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন মুখোমুখি অবস্থানে এই দুই দল। নেতা কর্মীদের ওপর হামলার পর থেকে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও পাহাড়ি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে পদত্যাগের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। হুমকির পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।