মোহাম্মদ শফিক :
উখিয়ার উপজেলার থাইংখালীর জামতলীতে সাবেক ইউপি সদস্য শুক্কুরের নেতৃত্বে ভয়াবহ পাহাড় কাটার অভিযোগ উঠেছে। রাত-দিন সমান তালে সরকারি পাহাড় কেটে ডাম্পার যোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়তের রাস্তা তৈরি কাজে মাটি বিক্রি করছে। আর এ কাজে ব্যবহার করছে তার পালিত পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট। বিষয়টি নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সরেজমিনে দেখতে গেলে নির্লিপ্তভাবে পাহাড় নিধনযজ্ঞের সত্যতা মেলে। পরে সংবাদ পেয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের রোহিঙ্গাদের নিয়ে কর্মরত নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ও মাসুদউল আলম ঘটনা স্থলে য়ায়। টের পেয়ে পাহাড় কাটায় নিয়োজিত শ্রমিক ও ডাম্পারগুলো সটকে পড়লেও মূলহোতা শুক্কুর আটকে যায় ম্যাজেস্ট্রেট এর জালে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে য়ায়।
এসময় নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেটে ও সাংবাদিকদের কাছে পাহাড় কাটার সত্যতা স্বীকার করে শুক্কুর মেম্বার বলেন, তিনি প্রায় ১শ থেকে দেড়শ গাড়ী মাটি বিভিন্ন জায়গা বিক্রি করেছেন। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়তের রাস্তার তৈরি কাজে এ পর্যন্ত প্রায় ১০হাজার ডাম্পার পাহাড়ি মাটি বিক্রি করে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন ও বর্তমান ইউপি মেম্বার নুরুল আমিন মেম্বার । এছাড়াও এ সিন্ডিকেটটি পালংখালী ইউনিয়নের সরকারি বিভিন্ন পাহাড় কেটে এনজিও কে অফিস ঘরসহ নানা অবৈধ স্থাপনা তৈরিতে সহযোগিতা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হতিয়ে নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী ও নুরুল আমিন মেম্বার বলেন, তারা পাড়ার কাটার সাথে কোনভাবেই সম্পৃক্ত নেই। এটি তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, রোহিঙ্গা আসার পর থেকে উখিয়া-টেকনাফে কতিপয় সাবেক ও বর্তমান ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান সিন্ডিকেট বিভিন্ন সরকারি পাহাড়র কেটে মোটা অংকের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় বিট কর্মকর্তা ও কতিপয় প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তির সাথে যোগসাজস করে বিভিন্ন এনজিওদের অফিস ঘরসহ নানা অবৈধ স্থাপনা তৈরিতে সহয়তা করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
এব্যাপারে থাইংখালী বিট কর্মকর্তা দুলাল বাবু জানান, বিভিন্ন এনজিওরা স্থানীয় পাহাড় খেকো সিন্ডিকেটদের কন্ট্রাকের মাধ্যমে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করছে। বিভিন্ন অফিস ঘর বসাচ্ছে। বিষয়টি তিনি তার উর্ধ্বতন কর্মর্কতাদের লিখিত অভিযোগও করেছেন। এর পরও অধিকাংশ এনজিও তা তোয়াক্কা করছেন না বলে দাবী করেন।
এব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, অভিযুক্তদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এলাকাগুলোতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া যে সকল এনজিও সরকারি পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরিতে জড়িত থাকবে, খতিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা করবে। তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।