ডেস্ক নিউজ:
স্থগিত থাকার পর আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ফের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করছে সরকার। এ কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ হতদরিদ্র মানুষ প্রতিমাসে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছর দ্বিতীয় পর্বে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি গুদামে চালের সংকট দেখা দেয়ায় তা স্থগিত করা হয়েছিল। যদিও চালের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে কষ্টে আছে দরিদ্র মানুষ।
খাদ্য অধিদফতরের পরিচালক (সরবরাহ, বণ্টন ও বিপণন) কাজী নুরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার জাগো নিউজকে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি থেকে আবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হচ্ছে। চালের দাম ১০ টাকাই থাকছে।’
তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরে আমরা কর্মসূচি চালু রাখতে পারিনি। এজন্য ফেব্রুয়ারি থেকে এবার শুরু হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ- আপাতত এই দুই মাস কর্মসূচি চলবে।’
বর্তমানে সরকারের গুদামে খাদ্যশস্যের মজুদের পরিমাণ ৬ লাখ টনের মতো, এর মধ্যে চালের পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ টন। এছাড়া আমন সংগ্রহও শুরু করেছে সরকার।
এবার চলতি মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে প্রতিকেজি ৩৯ টাকা দরে তিন লাখ টন আমন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। গত ৩ ডিসেম্বর থেকে আমন সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু হয়েছে, চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম এই কর্মসূচি শুরু করে সরকার। ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
পল্লী অঞ্চলের কর্মাভাবকালীন মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর- এই পাঁচ মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য ছিল সরকারের।
১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ শুরু করার পর তালিকায় স্বচ্ছল ব্যক্তিদের নাম থাকা, বাইরে বেশি দামে চাল বিক্রি করা, ওজনে কম দেয়াসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভুয়া সুবিধাভোগীদের কার্ড বাতিল, ডিলারশিপ বাতিল, ডিলারদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও বিভাগীয় মামলা, জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হয়।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ৫০ লাখ উপকারভোগীর তালিকাও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে খাদ্য বিভাগ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।