ছালাম কাকলী ॥ ঘুর্ণি বিধ্বস্ত ধলঘাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন জমিতে লবণ উৎপাদন শুরু হলেও উত্তর হামিদ খালী খাল ঘোনার জমির চাষিরা এখনো লবণ উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। ফলে ঐ এলাকার প্রায় ৬ শত কানি জমিতে লবণ উৎপাদনের ব্যাঘাত ঘটার আংশকা করেছেন ঐ এলাকার জমির উদ্দিন মেম্বার ও এলাকার লবণ ব্যবসায়ী নুরুল হোছাইন।

ধলঘাটা ইউনিয়নের বনজামিরা ঘোনার বাসিন্দা জমির উদ্দিন মেম্বার ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রতি বছর বনজামিরা ঘোনার পশ্চিম ও উত্তর পাশে থাকা উত্তর হামিদ খালী খাল ঘোনার জমির মালিকরা সর্বপ্রথমে লবণ উৎপাদন করতে সক্ষম হলেও চলতি বছর কয়লা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ৭নং সুইচ গেইটের পশ্চিমে বাদ দেয়ায় সাগরের লবণাক্ত পানি ভিতরে ঢুকতে পারছে না। ফলে হামিদ খালী খাল ঘোনার লবণ চাষীরা পানি অভাবে লবণ মাঠের কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। এমনকি ৬ শত কানি জমির মালিকরা এখন মাথায় হাত দিয়েছে। জমির উদ্দিন মেম্বার ও এলাকার লবণ ব্যবসায়ী নুরুল হোছাইন আরো ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, শীঘ্রই ৭ নং সুইচ গেইট দিয়ে পানি ঢুকার ব্যবস্থা করা না হলে অত্র এলাকার প্রায় কয়েক শত শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। পাশাপাশি উক্ত সুইচ গেইটের মুখে বাঁধ দেয়ার কারণে কয়েক কোটি টাকা লোকসান গুণতে হবে এলাকার জমির মালিকদের। এলাকাবাসী ও দেশের স্বার্থে শীঘ্রই উক্ত সুইচ গেইটের মুখটি খুলে দিয়ে পানি ঢুকে দেয়ার জন্য কয়লা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন জমির উদ্দীন মেম্বার। এদিকে ধলঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান অবশ্যই কয়লা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ উক্ত সুইচ গেইট খুলে দেবে বলে তিনি আশা করেন। অপরদিকে মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, জনগণ ও দেশের স্বার্থের ক্ষতি হয় এমন কাজ কয়লা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ করবে না। তিনি বিষয়টি কোল্ড পাওয়ারের এম, ডি কে জানাবেন। তিনি আশা করেন শীঘ্রই সুইচ গেইট দিয়ে পানি ঢুকার ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ করে দেবেন। অন্যদিকে মহেষখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানান। এ ধরনের অভিযোগ ফেলে আমি নিজেই কয়লা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে সুইচ গেইটটি খুলে দেয়ার জন্য সুপারিশ করব। ####