ডেস্ক নিউজ:
সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাব দিতে ‘অলআউট ক্যাম্পেইনিং ‘ আনতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন, আমাদের মিড়িয়া দখলে রাখতে হবে। এছাড়া আগামী নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রচারে নামারও ইচ্ছার পোষণ করেছেন তিনি।
সোমবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন। মতবিনিময় সভায় তিনি মূলত সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো প্রচার করতে আওয়ামী লীগ নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারীদের দল। খুনিদের আড্ডাখানা এ দলে। এগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। মানুষের মধ্যে এখন মাইন্ডসেট হয়েছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক কিন্তু বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে সেই মাইন্ডসেট ভেঙে দিতে চাচ্ছে। এটা মোকাবেলায় আমাদের মিড়িয়া দখল রাখতে হবে।
উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো তুলে ধরতে হবে। আমাদের দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচারণা অব্যাহত রাখতে পারলে ভবিষ্যত নিবাচনে বিএনপি নির্মূল হয়ে যাবে। প্রচারের কৌশল হিসাবে সামাজিক সব ধরনের যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া গণমাধ্যমে প্রচারের তাগিদ দিয়েছেন।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফকে উদ্দেশ করে জয় বলেন, আপনাকে এখন কথাবার্তা কম বলতে দেখা যায় কেন? জবাবে হানিফ বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তো কথা বলেন। এর জবাবে জয় বলেন, শুধু ওবায়দুল কাদের কথা বললেই হবে না। কেন্দ্রীয় নেতা সবাইকে যার যার অবস্থানে থেকে কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, ৭৫ পরবতী সময়ে বিএনপিসহ আওয়ামী লীগবিরোধী শক্তিরা মিড়িয়া দখল করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার অব্যাহত রাখে।
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে দলের কোন্দল নির্মূল করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের তাগিদ দিয়েছেন জয়। তিনি বলেছেন আগামী ছয় মাসের মধ্যে সর্বস্তরের কোন্দল নিরসন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন শক্তি আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবে না। ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিএনপির সব অপকর্মগুলোকে নির্বাচন পর্যন্ত হাইলাইটস করার কথাও বলেন তিনি।
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিষয়টি তুলে আনলে জয় বলেন, এটা বড় ধরনের একটা ষড়যন্ত্র ছিল, সরকার অচলের মত। আপনাদের সাহসী পদক্ষেপে এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে পারায় আপনাদের ধন্যবাদ। আগামী নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রচারে নামার ইচ্ছার পোষণ করেছেন জয়।
সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন দলের ফিউচার লিডার হিসাবে জয়কে সম্বোধন করলে তিনি বলেন, আগে ফিউচার আসুক। ফিউচার আসলে ফিউচারে দেখা যাবে। সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মণি, আব্দুর রহমান, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া সহযোগী সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।