জহির খন্দকার, ঈদগড়:
রামু উপজেলার ঈদগড়ে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় বখাটে যুবকের হামলায় স্কুলছাত্রী সহ একই পরিবারের ৩জন গুরুত্বর আহত হয়েছে।আহতদের স্তানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।প্রতিকার চেয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুসন্দানে জানা যায়, গত৬ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় ঈদগড় বড় বিল নতুন পাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে ঈদগড় এ এম বি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী কাজল পাখীকে(১৫) বড় বিল গ্রামের মোহাম্মদ হোছনের বখাটে পুত্র নুরুচ্ছপা একা পেয়ে আপত্তিকর অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। স্কুলছাত্রী কাজল পাখী এর প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষেপে গিয়ে নুরুচ্ছপা কাজল পাখীকে ঝাপটে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্তানে কামড়াতে শুর করে।স্কুলছাত্রী কাজল পাখী আত্বচিৎকারে তার বড় বোন সাজেদা আকতার ও সারজিনা আকতার এগিয়ে আসলে বখাটে নুরুচ্ছপা তাদের উপর ও হামলা চালাই।এতে ছাত্রী কাজল পাখী সহ তার ২ বোন আহত হয়। অন্যান্য আহতরা হলেন সাজেদা আকতার ও সারজিনা আকতার।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল মজিদ ভুট্রো জানান, আমার চোখের সামনে বখাটে নুরচ্ছপা স্কুল ছাত্রী কাজল পাখী ও তার ২ বোনের উপর হামলা চালায়।আহতদের চিকিৎসা করার জন্য ঈদগড় বাজারস্হ মক্কা ফার্মেসীতে নিয়ে আসলে বখাটে নুরুচ্ছপা স্তানীয় সংবাদ কর্মী সহ এলাকাবাসীর সামনে দ্বিতীয় দফা হামলা চালায়। পরে এলাকাবাসীর ধাওয়ার মুখে বখাটে নুরুচ্ছপা পালিয়ে যায়।
আহতদের অসহায় মা রাজিয়া বেগম বলেন, আমি বখাটে নুরুচ্ছপার দৃস্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি।এই ঘটনায় রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গত ৭ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।আশা করি ন্যায় বিচার পাব।রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইনগত ব্যবস্তা গ্রহন করতে ও সি রামুকে নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকার সচেতন মহলের কাছে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।