মূর্তি সুফিয়া পেয়েছে সৌদি নাগরিকত্ব। চল্লিশ বছর ধরে তাদের উন্নয়নের অংশীদার বাঙালিরা চিরবঞ্চিত।
সৌদিআরবে নির্মাণ, কৃষি, শিল্প, ব্যবসা সবক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা অবদান রেখে চলেছেন। অনেকে তিনচারদশক ধরে সপরিবারে বসবাস করছেন। তাদের সন্তানসন্ততিও সেদেশে জন্মগ্রহণ করে এবং একনাগাড়ে বসবাস করছেন। তবু তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হয় না। তারা নিরবে সহ্যকরে ওয়ার্ক পারমিটের ঝামেলা বা বিড়ম্বনা।
রোবট নামের মূর্তিটা বেড়াতে এসেছে বাংলাদেশে। সম্বর্ধনা ও আতিথেয়তা পাচ্ছে রাজকীয়। যদি বাঙালিরা সেদেশে এর সিকি ভাগ মর্যাদা পেতো আমার বলার কিছু থাকতো না।
শোনা যাচ্ছে এই মূর্তিমেয়ে সন্তান নিতে চায়। অবৈধ সন্তান ধারণ সৌদি আইনে কবিরা গুনাহ্। আবার সৌদি নারীর বাংলাদেশি নাগরিকের সাথে বিয়ে নিষিদ্ধ। মূর্তিটা নাকি সব জানে, বিয়ের শরীয়াহ আইন কি জানে না? –তাছাড়া রোবট সুফিয়ার সন্তান নেয়ার কথাটা নারীর জন্য অসম্মান।
সৌদি রাজদরবারে নারীদের আলাদা মর্যাদা। এখন দেখা যাচ্ছে নারী রোবট বা মূর্তির প্রতিও তাদের আসক্তি। ইবনে বতুতা বলেছিলেন, বাঙালি অতিথিপরায়ণ। সুফিয়াকে আতিথেয়তা দেখাচ্ছেন, তাই। আসলে এ দেশের যুবারা নারী রোবটের প্রতি চিরঅনাসক্ত।
সুফিয়া, যাও ফিরে যাও! সেখানে গিয়ে বাঙালিদের খবর নাও।

আ.ন.ম রফিকুর রশীদের ফেসবুক থেকে নেয়া।