শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি :
রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের জাউচপাড়া এলাকা থেকে ১২ ঘন্টার ব্যবধানে গত ৬ ডিসেম্বার (বুধবার) ভোরে শাহীন বাহিনীর আরেক শীর্ষ ডাকাত জলাল আহম্মদ ওরফে জইল্ল্যা ডাকাতকে ধরিয়ে দিল গ্রামবাসী।
এদিকে গত ৫ ডিসেম্বার (মঙ্গলবার) ভোর কচ্ছপিয়া এলাকার শীবাতলায় গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) কাজী আরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ডাকাতের আস্তানা অর্থাৎ রাহামত উল্লাহর বাড়ী ঘেরাও করা হলে হাতেনাতে দুই শীর্ষ ডাকাত আটক করতে সক্ষম হলেও আরেক শীর্ষ জইল্ল্যা ডাকাতসহ আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়।
তবে পুলিশ অভিযান অব্যাহত থাকার ফলে ১২ ঘন্টার ব্যবধানে শাহীন বাহিনীর সদস্য কয়েক মামলার ফেরারী আসামী জইল্ল্যা ডাকাতকে এলাকাবাসী সহযোগিতায় ধরপকড় করে পুলিশের হাতে সোপার্দ করা হয়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায়, আটকৃত শীর্ষ ডাকাত গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝিরকাটা গ্রামের মৃতু মোঃ নবীর পুত্র জালাল আহম্মদ ওরফে জল্ল্যা ডাকাত (২৫) । তাঁর বিরুদ্ধে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ডাকাতি-চাঁদাবাজিসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে।সে শাহীন বাহিনীর সদস্য হিসেবে বেশ পরিচিত।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, কচ্ছপিয়া এলাকায় পুলিশের অভিযানে ধাওয়া খেয়ে পার্শ¦বর্তী গর্জনিয়া এসে একি ভোর রাতে বেশ কয়েকটি বাড়ী ডাকাতি করার প্রস্তুতি কালে রামদাও কিরিচসহ হাতেনাতে ধরিয়ে ফেলে গ্রামবাসী। এসময় গ্রামবাসীর গণধোলায় দিয়ে তাকে দূর্বল করে পুলিশের হাতে সোপার্দ করে
গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) কাজী আরিফ উদ্দীন জানান, গ্রেপ্তারের সময় একটি কিরিচ ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরূদ্ধে পূর্বের কয়টি মামলা আছে তা খতিয়ে দেখাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে ডাকাত জইল্ল্যা রামু থানা পুলিশ হেফাজে রয়েছে।
উল্লেখ্য, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের শীবাতলী এলাকায় মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বার) ভোর রাতে রহমত উল্লাহর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আব্দু রহিম (৩২) ও আবু নয়ন ওরফে সোনা মিয়া(৩৪) নামে দুই ডাকাতকে আটক করে পুলিশ। ওই সময় বাড়ী হতে ২টি দেশীয় তৈরী বন্দুক উদ্ধার হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।