কক্সবাজারে মসজিদের ভেতরে আইনজীবি সহকারীর হাতে ১৩ বছরের এক শিশু বলাৎকারের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । গত ১৯ নভেম্বর শহরের গোলদীঘির পাড় মসজিদে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি কাউকে জানাতে পারেনি। কারণ বিভিন্নভাবে শিশুটির পরিবারকে হুমকি দিয়ে ঘর থেকে বের হতে দেয়নি । বুধবার জোহরের নামাজের পর বলাৎকারের শিকার শিশুর পিতা মুসল্লিদের বিষয়টি জানালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বলাৎকারের ঘটনাটি ফাঁস হয়েগেলে আত্মগোপনে চলে যায় আইনজীবি সহকারী কলিমউল্লাহ।
বলাৎকারের শিকার শিশুটির পিতা কক্সবাজার শহরের ঘোনার পাড়ার নাজির হোসেন অভিযোগ করেছেন, তার ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ারকে ১৯ নভেম্বর ঐ মসজিদের এক নিয়মিত মুসল্লী কলিমউল্লাহ তার ছেলেকে মসজিদের ২ তলায় জোরপূর্বক বলাৎকার করে। মসজিদ থেকে বাসায় আসার পর তার শিশু সন্তান আনোয়ার মসজিদের ভেতর বলাৎকারেরর শিকার হওয়ার কথা জানায়। সাথে সাথে তিনি তার শিশুকে বলাৎকারকারী কলিমউল্লাহর কাছে যায়। কলিমউল্লাহ তার আরো ৩ জন সহযোগীকে নিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানার হুমকি দেয়। বিষয়টি জানাজানি করলে তাকে ও তার শিশু পুত্রকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে গোলদীঘিরপাড় মসজিদ কমিটির সভাপতি মুফতী মোর্শেদ জানান, বিষয়টি আজ আমরা জানতে পেরেছি। কলিম উল্লাহর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রণজিত কুমার বড়ুয়া জানান, গোলদিঘির পাড় মসজিদে বলাৎকারের বিষয়টি কেউ অভিযোগ করেনি । অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এবিষয়ে অভিযুক্ত কলিমুল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকভার চেষ্ঠা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। পরে তার বাসায় ও অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।