বিশেষ প্রতিবেদক
ইয়াবা ও পতিতা ব্যবসার নিরাপদ আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে শহরের ঝাউতলার সালেহ নূর গেস্ট হাউস। ঝুপড়ি টাইপের উক্ত হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও পতিতা ব্যাবসা চলে আসছে। শাহেদ নামে এক ব্যক্তি এসব অনৈতিক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার দুপুরে উক্ত হোটেলে অভিযান চালিয়ে বিশ হাজার ইয়াবাসহ ৩ যুবককে আটক করেছে র্যাব।
র্যাব -৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ রুহুল আমিন জানান, উপরোক্ত হোটেলে মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রির উদ্যেশ্যে অবস্থানের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ২০ হাজার পিস ইয়াবা সহ ৩ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হল সদরের জালালাবাদ ইউনিয়নের মোহনভিলা গ্রামের মোঃ হোসেনের ছেলে তানভীর হোসেন (২১), টেকনাফের খয়রাতি পাড়ার মোঃ হোসেনের ছেলে ইউছুফ (২০) ও হলবুনিয়ার মৃত নূরুল আলমের ছেলে জাকির হেসেন (২৭)। আটককৃতদের সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। উদ্ধারকৃত ইয়াবা বড়ির মূল্য ৮০ লক্ষ টাকা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হোটেল মালিক ছৈয়দ নূরের ছেলে ইয়াবা ডন শাহেদ অভিযান টের পেয়ে এসময় পালিয়ে যায়।
এর আগেও গত ৩০ সেপ্টেম্বর উক্ত হোটেল থেকে ৭ জন পতিতাসহ শাহেদকে আটক করে থানায় নিয়ে যান সদর মডেল থানার এ এস আই দেলোয়ার। কিন্তু রহস্যজনক কারনে পরদিন ছাড়া পায় সে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে শহর ও হোটেল মোটেল জোনের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে পতিতা ও মাদক সরবরাহ করা হচ্ছে উক্ত সালেহ নূর গেস্ট হাউস থেকে। আগে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পতিতা সংগ্রহ করে আসলেও সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ক্যা¤প থেকে নীরিহ মেয়েদের ফুসলিয়ে এনে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করছে এরা। রোহিঙ্গা যুবতীদের মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ ও পাচারের অভিযোগও রয়েছে শাহেদের বিরুদ্ধে।
মাদক-পতিতার আড্ডাখানা সালেহ নুর গেস্ট হাউস
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।