নুসরাত পাইরিন
দারিদ্রের বহুমাত্রিকতা বিবেচনায় ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে মুক্তি কক্সবাজার সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মসূচি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করছে।

এই কর্মসূচির আওতায় গত ২৫-৩০ নভেম্বর ২০১৭ তারিখ কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে সপ্তাহ ব্যাপি হ্যান্ডবল প্রশিক্ষণ এবং সমাপনী দিনে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজার সদর উপজেলার বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ও কলেজের ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহণে ওই প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহিদুর রহমান।

প্রতিযোগিতা শেষে এক সংকিপ্ত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তি কক্ সবাজারের নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা জেবুন্ নেছার সভাপত্বিতে উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক অনুপ বড়–য়া অপু, ডিজিটাল হাসপাতাল কক্সবাজারের চেয়ারম্যান মো: ওসমান গনি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, সদস্য আলী রেজা তসলিম জেলা, টেবিল টেনিস কোচ, এ্যাথলেটিকস কোচ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, তায়কান্ডু কোচ ও খেলোয়াড়বৃন্দ, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং মুক্তি কক্সবাজাররে প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মকর্তা এবং সুধিজন বৃন্দ।

পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহিদুর রহমান বলেন, ক্রীড়া মানুষকে পরিপূর্ণ একজন মানুষে পরিনত করে। খেলা-দুলা করে যাওয়ার পরে পড়ালেখা করলে তা সহজে মনে থেকে যায়। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহন করতে হবে। ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমেও জীবনে সফলতা অর্জন করা যায়। এ ধরনের মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করায় তিনি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং মুক্তি কক্সবাজারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন বিদ্যালয়- কলেজ থেকে বাছাই করে ৪০ জন শিক্ষার্থীকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় হ্যান্ডবলের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। পরে সমাপনী দিনে প্রশিক্ষনার্থীদের নিয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিযোগিতায় ১০টি বিদ্যালয় এবং ২টি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। বিদ্যালয় ও কলেজগুলো হল পৌর পি-প্যার‌্যাটরি উচ্চ বিদ্যালয়, কলাতলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, আমেনা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং এয়ারপোর্ট পাবলিক হাই স্কুল, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাহারছড়া উচ্চ বিদ্যালয়, কক্সবাজার সিটি কলেজ এবং কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ।

অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন মুক্তি কক্সবাজার এর সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মসূচির প্রোগ্রাম অফিসার ফয়সল মাহমুদ সাকিব।